বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাংলাদেশে বিগত দু’দশকে গড়ে উঠেছে বিপুল সংখ্যক আবাসিক প্রকল্প। রাজধানী ঢাকা সহ বড় শহরগুলোতে এসব প্রকল্পের সিংহভাগই প্রুযুক্তিগত দিক থেকে অনুন্নতমানের। নানা অনিয়ম আবাসন প্রকল্পগুলোর নির্মাণশৈলী আকৃষ্ট করতে পারছেনা রুচিশীল গ্রাহকদের। আর এসব ভাবনা থেকেই একটি বিশ্বমানের এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স গড়ার স্বপ্ন দেখেন ডাঃ জকি পাটোয়ারী। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক দিক থেকে ব্যবসায় সফল ডাঃ পাটোয়ারী নিউইয়র্কে বসবাস করছেন দীর্ঘদিন ধরে। প্রবাসের পাশাপাশি দেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ডাঃ পাটোয়ারী ঢাকার উত্তরায় গড়ছেন বিশ্বমানের এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স। স্বপ্নের এ আবাসন প্রকল্পের নাম দিয়েছেন তিনি ‘নিউ হ্যাভেন সিটি।’ এজন্য উত্তরায় ১৬ নম্বর সেক্টরের সন্নিকটে বেছে নিয়েছেন অত্যন্ত চমৎকার একটি স্থান। তিন একর উন্মুক্ত জমির উপর তিনি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও সুযোগ-সুবিধা ভিত্তিক বিশ্বমানের এই এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স তৈরী করছেন।
মেট্রোরেল ষ্টেশন-১ সংলগ্ন ও তুরাগ নদীর অনতি দূরে ঢাকা মহানগরীর ত্রিমুখী প্রবেশদ্বারে নির্মীয়মান নিউ হ্যাভেন সিটি হবে চোখ ধাঁধানো এবং ফাইভস্টার হোটেল মানের। এই এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনায় থাকবে একটি খ্যাতিমান ফাইভ স্টার হোটেল কোম্পানী। নিউ হ্যাভেন সিটি সম্পর্কে ডাঃ জকি পাটোয়ারি বলেন, বাংলাদেশ থেকে খ্যাতিমান আর্কিটেক্ট নিয়ে আসি আমেরিকায়। তাদেরকে আমার স্বপ্নের কথা জানাই। তারা দেশে ফিরে গিয়ে তিন বছর ধরে একটি অসাধারণ ডিজাইন তৈরি করেন। তিনি বলেন, আমি নাম দিয়েছি নিউ হ্যাভেন সিটি। কিন্তু বাংলাদেশে এত বিশাল কাজ করতে গিয়ে প্রতি পদে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছি। রাজউক ছাড়াও সরকারের ১২টি ডিপার্টমেন্টের অনুমোদন নিতে হয়েছে। লাল ফিতার দৌড়াত্ন কাজের গতি কমিয়ে দেয়।
ডাঃ জকি পাটোয়ারি বলেন, নিউ হেভেন সিটি এক হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশে গিয়েছি বিনিয়োগ করতে। তিনি বলেন, এই প্রকল্প থেকে বাংলাদেশ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সাহায্য না করলে আমরা এই মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে পারবো না। তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক হলো আমাদের ফাইল মুভই করে না। ডাঃ জকি পাটোয়ারি বলেন, আমরা যখন নির্মাণ কাজ শুরু করি তখনই প্যানডেমিক হানা দেয়। তা সত্বেও ইন্টারনাল রোড, এক্সটারনাল রোডের কাজ শেষ করেছি। আর ইতোমধ্যেই আমাদের নিউ হেভেন সিটির কথা জানাজানি হলে প্রায় ২০০টি এপার্টমেন্ট বুকিং পাই। তিনি জানান ৪৯৪টি এপার্টমেন্ট থাকবে এই কমপ্লেক্সে। ৫ ধরণের এপার্টমেন্ট থাকবে। ঢাকায় আমরা কেবল আরসিসি স্ট্রাকচার তৈরি করব। বাকি সবই যেমন গ্লাসওয়াল, ডোর, উইনডো, টয়লেট, কিচেন তৈরি হয়ে আসবে চীন থেকে। যে চাইনিজ কনস্ট্রাকশন কোম্পানী এই কমপ্লেক্স নির্মাণ করছে, তারা চীন থেকে মাপ মতো বানিয়ে এনে এখানে শুধু বসিয়ে দেবে। আমেরিকাতে এই পদ্ধতিতে বিল্ডিং তৈরি করছে চাইনিজরা।
ডাঃ জকি পাটোয়ারি বলেন, নিউ হেভেন সিটিতে ১৩৫০, ১৫০০, ১৭৫০, ১৮০০ ও ২০০০ বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট এপার্টমেন্ট হবে। প্রতিটি ৩ বেডরুমের। থাকবে দু’টি ফুল বাথ ও একটি হাফ বাথ, সামনে ও পিছনে থাকবে ব্যালকনি। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলেন, কমপ্লেক্সের ভিতরে ঢুকলে কোনো প্রয়োজনে বাইরে যেতে হবে না। সবকিছুই থাকবে কমপ্লেক্সের ভিতরে। যেমন থাকবে কার ওয়াশ, শপিং, এটিএম বুথ, প্লেগ্রাউন্ড, পার্টি হল, কয়েন লন্ড্রি, স্পা, ফিটনেস সেন্টার, ফার্মেসি, বিউটি পারলার, ড্রাই ্িক্লনার, কফি শপ জ্যুস বার, সিনিয়র সিটিজেন রিক্রিয়েশন সেন্টার, মসজিদ রেস্টুরেন্ট, গ্রোসারি, বারবিকিউ প্লেস, সুইমিং পুল, রুফটপ প্লে গ্রাউন্ড। প্রায় সবকিছুই নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক থাকবে। এছাড়াও থাকবে ২৪ ঘন্টা পাওয়ার জেনারেটর, হট ওয়াটার সাপ্লাই, পিউর ড্রিংকিং ওয়াটার, প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইল চেয়ার সুবিধাসম্পন্ন র্যাম্প।
ডাঃ জকি বলেন, অন্টারপ্রেনার হিসেবে তার যে অভিজ্ঞতা তার ওপর ভিত্তি করেই দেশে নিউ হেভেন সিটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেন, যাতে প্রবাসীরা এর মালিক হলে দেশে গিয়ে তাদের এপার্টমেন্টে থেকে মনে করতে পারেন স্বর্গের কাছাকাছি থাকছেন। ডাঃ পাটোয়ারি বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগবান্ধব। আমরা তার সহযোগিতা কামনা করি। তিনি বলেন, পাঠকরা বিজ্ঞাপনের ছবিতে যা দেখছেন এটা আমেরিকা বা ইউরোপ নয়। বাংলাদেশে নির্মানাধীন একটি ফাইভ স্টার আবাসিক প্রকল্প এটি। ঢাকার উত্তরায় নিউ হ্যাভেন সিটি নিউইয়র্কের নিউ হ্যাভেন কোম্পানি ও উত্তরা হ্যাভেন প্রপার্টিস বাংলাদেশ লিমিটেডের একটি যৌথ প্রকল্প। এই ফাইভ স্টার এপার্টমেন্ট প্রকল্পে রয়েছে রেন্টাল অপশনস। হোটেল ম্যারিয়ট এবং হিলটনের মতো ফাইভ স্টার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি থাকবে সার্বিক ব্যবস্থাপনায়। অত্যাধুনিক বেস্টনির আবাসিক প্রকল্পটি নিউইয়র্ক ভিত্তিক আমেরিকান এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন ও পরিচালিত। বিনিয়োগের পর অসন্তুষ্ট হলে কোম্পানী মূল্য ফেরতের ক্ষেত্রে ১০০% গ্যারান্টি দিচ্ছে। ঢাকার উত্তরার মেট্রোরেল ১ নম্বর স্টেশন সংলগ্ন প্রথম নির্মাণাধীন ফাইভ স্টার আবাসিক প্রকল্প এই ফাইভ স্টার আবাসিক প্রকল্পের নকশা প্রাশ্চাত্য জীবন ধাঁচের হলেও সুযোগ সুবিধা থাকছে আমাদের সংস্কৃতির উপযোগী।
ডাঃ জকি পাটোয়ারি সিনিয়ার মেডিকেল সাইন্টিস্ট হিসেবে তিনি মেডিকেল রিসার্চ ও ড্রাগ ডেভেলপমেন্টে ২৭ বছর ধরে কাজ করেছেন। সেই সাথে বাংলাদেশে ও আমেরিকায় বিভিন্ন মেডিকেল সেন্টার ও হসপিটালে প্রফেসর, ডিরেক্টর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি নিউইয়র্ক ও নিউজার্সিতে বেশ কিছু মেডিকেল ইনস্টিটিউট ও বিজনেস প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
Posted ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh