বাংলাদেশ অনলাইন : | বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৬ অক্টোবর (বুধবার) সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হয়েছে। কোন কোন গ্রাউন্ডে রিভিউ আবেদন করা হয়েছে এবং আবেদনে কি বলা হয়েছে সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে বেলা সোয়া ১টায় সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবেদন করেছেন।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে এডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ঠা আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এ আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ই মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। তবে পরবর্তী দু’টি সংসদ নির্বাচন অর্থাৎ ১০ম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে অভিমত দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল আদালত। কিন্তু লিখিত রায়ে পরবর্তী দু’টি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে বলে আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছিলেন তা আর রাখা হয়নি।
ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০শে জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩রা জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। আপিল বিভাগের সে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ ৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি এ আবেদন করেন। অন্য চার ব্যক্তি হলেন- তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
Posted ১০:৪২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh