বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ০১ নভেম্বর ২০২২
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন- বিষাক্ত ওষুধ মেশানো ভেজাল খাদ্যে দেশ ভরে গেছে। আমরা যেসব খাবার খাচ্ছি, তার সবই ভেজাল মেশানো। চাল, ডাল, মশলা, মাছ থেকে শুরু করে শাকসবজিসহ প্রায় সব খাদ্যেই বিষ মেশানো হচ্ছে। ৩১ অক্টোবর (সোমবার) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন- ‘বিষ মেশানো খাবারগুলো আমরা নিজেরা খাচ্ছি, আমাদের পরিবারের ছোট-বড় সবাই খাচ্ছে। ভেজাল খাদ্যের কারণে মানুষের দেহে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ হচ্ছে। মানুষের কিডনি বিকল হওয়াসহ বড় বড় জটিল রোগগুলো এখন দ্বিগুণ হারে বেড়ে যাচ্ছে।’
‘ভেজাল খাবারের কারণেই দেশে ওষুধের ব্যবসা এত বেড়ে গেছে’ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি হাসপাতালের ফ্লোরেও রোগীদের এখন জায়গা হয় না। উন্নত দেশগুলোতে আর যাই হোক, খাদ্যে বিষ মেশালে সেই কোম্পানি যত ক্ষমতাধরই হোক, কোনো ছাড় দেওয়া হয় না।’
ভেজালের বিরুদ্ধে ‘নো কম্প্রোমাইজ’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন হোটেলে ভেজাল খাবার, দোকানে ভেজাল খাবার, বাজারে ভেজাল খাবারসহ সর্বত্র ভেজাল খাবার দেওয়া হচ্ছে। মানুষ যাবে কোথায়? খাবে কী? এভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ জীবন দিতে হলে এই ভেজাল কারবারিদের এখনই থামিয়ে দিতে হবে। খাদ্যে ভেজাল দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এটি করতে আমাদের স্বাস্থ্যখাতের ভূমিকা আরও জোড়াল করার পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং একযোগে কাজ করতে হবে। ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, সেটি নিয়ে পড়ে থাকলে এই ভেজাল আর বন্ধ হবে না। ভেজাল প্রতিরোধ করা ও নিয়ন্ত্রণ করা অন্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হতে পারে, কিন্তু চিকিৎসা তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেই দিতে হবে। কাজেই আগামী এক মাসের মধ্যেই স্বাস্থ্যখাতের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কিছু টিম গঠন করে মাঠে নেমে যেতে হবে এবং সুনির্দিষ্ট রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। সেই রিপোর্ট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আমরা বসে খুব দ্রুত এর সমাধান করব।’
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত সবার কথা শোনেন এবং সবাইকে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কী কী ভূমিকা রাখতে হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেন। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদিসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের পদস্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ৭:০৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০১ নভেম্বর ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh