বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে এখন ৩৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। রিজার্ভ নিয়ে বাংলাদেশ কি ভাবছে, সামনে এটা বাড়বে না কমবে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে বিশ্বব্যাংক। একই সঙ্গে রিজার্ভ কমার কারণ ও মূল্যস্ফীতির বিষয়ে জানতে চেয়েছে বিশ্বব্যাংক। ১৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিশ্বব্যাংকের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠককালে এসব জানতে চান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের বাজেট সাপোর্ট দিচ্ছে। এটা দিতে গিয়ে বিশ্বব্যাংক আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা জানতে চেয়েছে আমরা কি অবস্থায় আছি। বৈদেশিক রিজার্ভ নিয়ে আমরা কি ভাবছি এটা বাড়বে না কমবে এটাও জানতে চেয়েছে। সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে জানতে চেয়েছে ক্ষুদ্র অর্থনীতি কোন অবস্থায় আছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কি কি পদক্ষেপ নিয়েছি। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রিজার্ভ যে কমলো এটা কমার কারণটা কি? এটা কিভাবে উঠাতে পারবো এসব বিষয়ে সংস্থাটি জানতে চেয়েছে। তিনি আরও বলেন, রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার কারণ ও বাংলাদেশ কীভাবে তা বাড়াতে পারে তাও জানতে চেয়েছিল প্রতিনিধি দল।
প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, মূল্যস্ফীতি যতটা বাড়ার কথা ছিল আমাদের ততটা বাড়েনি। খাদ্যপণ্যের দাম খুব বেশি বাড়েনি। মূল্যস্ফীতি কমাতে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। বিলাসী পণ্য আমদানি বন্ধ করেছি।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার যে ব্যবধান ব্যালেন্স অব পেমেন্টের ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। এটা মেটাতেই রিজার্ভে হাত দিতে হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই থেকে তা ভালো হচ্ছে। দুই মাসে ৩৫ শতাংশ হারে এক্সপোর্ট বেড়েছে। রেমিটেন্স অফিসিয়াল লাইনে ভালো হচ্ছে। প্রতি মাসে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো রেমিটেন্স পাচ্ছি।
এর আগে এক সঙ্গে কখনো দুই বিলিয়ন ডলার পাইনি। আমদানি কমছে কিন্তু রপ্তানি বাড়ছে। আমরা অর্থনীতি ও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় স্বস্তির দিকে যাচ্ছি। এক্সচেঞ্জ রেট বাজারের উপর ছেড়ে দিয়েছি। বৈদেশিক মুদ্রার বাজারও স্থিতিশীল হবে। রিজার্ভ আর কমবে না। উৎপাদনশীল কোনো খাত ব্যহত হয়নি। কৃষি ও শিল্পে সমানতালে উৎপাদন হচ্ছে। উৎপাদন ব্যবস্থা ঠিক আছে। বাইরে মূল্যস্ফীতি বেশি বলেই আমাদের এখানে বেড়েছে। দেশের পুরো অর্থনীতি আমাদের আয়ত্বের মধ্যে আছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলকে বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই কয়েকবার স্থানীয় টাকার মান কমিয়েছে। এখন আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল।
Posted ১২:০২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh