বাংলাদেশ নিয়ে ফের কথা বলেছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। দেশটির স্থানীয় সময় সোমবার মিলার বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি ও জ্যাকব মিল্টনের প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার এসব কথা বলেছেন।

মুশফিকুল ফজল আনসারি জানতে চান, বাংলাদেশে বিরোধী দলের সমাবেশে হামলা এবং সহিংসতা নিয়ে আপনার বিবৃতিটি লক্ষ্য করেছি। পুলিশ অনেকটা পরিকল্পিতভাবেই এই হামলা চালিয়েছে। তারা সমাবেশের পূর্বে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির শত শত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে, আটক থেকে বাদ পড়েনি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও। বিরোধী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শত শত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখছে?

এর জবাবে মিলার বলেন, ‘২৮ অক্টোবর ঢাকায় সংগঠিত রাজনৈতিক সহিংসতায় আমরা নিন্দা জানাই। পুলিশ সদস্য এবং রাজনৈতিক কর্মীর নিহত হওয়া, হাসপাতাল ও বাসে আগুন দেওয়া অগ্রহণযোগ্য। একইভাবে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা অগ্রহণযোগ্য। আমরা কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই তারা যেন ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে সহিংসতার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসে। অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সকলের দায়িত্ব। ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়া—এটা সকলের দায়িত্ব।’

পরবর্তী সময়ে জ্যাকব মিল্টন মিলারকে প্রশ্ন করেন যে, গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সশস্ত্র ক্যাডাররা পুলিশের ইউনিফর্ম পড়ে, পেট্রল বোমা, গান পাউডার দিয়ে নিরাপরাধ বেসামরিক লোকদের হত্যা করেছে। সেইসঙ্গে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। এবং ক্ষমতাসীন দল বলছে, এসব বিরোধীদল করেছে।

আমি মনে করি আন্তর্জাতিকভাবে সবারঅই এসব হামলাকে সন্ত্রসী হামলা হিসেবে উল্লেখ করা। ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনীর মধ্যে রয়েছে- ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আরও কিছু লোক। এদের সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের কী কোনো পরিকল্পনা আছে?

এসব প্রশ্নের জবাবেই মিলার বলেছেন, আমি বলব যে আমরা স্পষ্ট করেছি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সমর্থন করার জন্য দরকারে আমরা যেকোনো পদক্ষেপ নেবো।