বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে এই সমঝোতা স্মারকগুলো সই করা হয়। এর আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার সকালে সেখানে তাকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা, লালগালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
ওই সময় ভারত সফর নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। যখনই ভারতে আসি, তা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের, বিশেষ করে আমার জন্য। তিনি আরও বলেন, আমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের জীবনমান উন্নত করা, দারিদ্র্য দূর করা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। আমি মনে করি, এসব বিষয়ে দুই দেশ একযোগে কাজ করতে পারে। এতে শুধু বাংলাদেশ-ভারতই নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার সবার জীবনমানের উন্নতি ঘটবে- এটাই আমাদের লক্ষ্য। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে রাজঘাট গান্ধী সমাধিস্থলে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বসেন। এছাড়া, বিকেলে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদ্বীপ ধনগড় এবং এরপর দেশটির প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
বাংলাদেশ ও ভারত যে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে-
কুশিয়ারা নদী থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি উত্তোলনের জন্য সমঝোতা স্মারক
বাংলাদেশ ও ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক
ভারতের ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি ও বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক
বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য সমঝোতা স্মারক,
বাংলাদেশ ও ভারতের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক,
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও প্রসার ভারতীর মধ্যে সমঝোতা স্মারক,
স্পেস টেকনোলজি বা মহাকাশ প্রযুক্তি খাতে সমঝোতা স্মারক।
Posted ৩:৩৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh