বাংলাদেশ অনলাইন : | শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে। আমরা প্রত্যাশা করি, (বাংলাদেশ) সরকার আমাদেরসহ (যুক্তরাষ্ট্র) সব বিদেশি মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেবে।’ বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ তথ্য জানানোর পরই নিষেধাজ্ঞার ইস্যুটি রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। সামাজিক মাধ্যমে সয়লাব হয়ে যায় সরকার, বিরোধীদলসহ সরকারি কর্মকর্তার নাম। আর এ বিষয়ে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছে মার্কিন দপ্তর। সবশেষ ২৮ সেপ্টেম্বর স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন যেকোনো ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিকল্প কী হতে পারে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেন ম্যাথিউ মিলার।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার বিকল্প হাতে রাখে যুক্তরাষ্ট্র, যতক্ষণ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের উপযুক্ত সময় না হয়, ততক্ষণ তা প্রয়োগ না করে বিকল্প কিছু প্রয়োগ করা হয়। ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, স্থানীয় একটি বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার নিরাপত্তা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শুধু তার নিরাপত্তা উদ্বেগই নয়, এমনকি দূতাবাসের কর্মীরাও নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছেন। সুতরাং তার উদ্বেগ বৈধ, বেশ বৈধ, কারণ আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উপর কয়েকটি হামলা দেখেছি। মিলার, এই উদ্বেগগুলোকে কী গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন?
উত্তরে মিলার বলেন, আমি মার্কিন দূতাবাস বা সেখানে কর্মরত কর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট বিবরণ নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি না। আমি বলব যে অবশ্যই আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, প্রতিটি আয়োজক দেশকে অবশ্যই সমস্ত কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দূতাবাস কর্মীদের উপর কোনো আক্রমণ প্রতিরোধে সমস্ত কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে এবং আমরা আশা করি যে সরকার আমাদেরসহ দেশের সকল বিদেশি মিশন কর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেবে।
তাকে আরো প্রশ্ন করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশে আরো বেশি ভিসা বিধিনিষেধের কথা ভাবছে। সরকারপন্থী মিডিয়াসহ যারা সরকারকে দানব হতে সাহায্য করেছে তাদের বিরুদ্ধে। আমরা আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিয়েছি। যাদের আমরা বিশ্বাস করি যে তিনি বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নষ্ট করার জন্য দায়ী বা জড়িত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতো নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে। সাধারণত নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় যেসব দেশে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যাতায়াত, বিনিয়োগ বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে। আবার অনেক সময় প্রতিশোধ হিসেবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
Posted ৭:০০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh