বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েস। ৫ ডিসেম্বর (সোমবার) কক্সবাজার শহর থেকে সড়কপথে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্যাম্প কুতুপালংয়ে যান তিনি। সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গা নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের অভিজ্ঞতা শোনেন। এসময় মিয়ানমারে নিজ দেশে সংঘটিত গণহত্যা এবং তাদের ওপর হওয়া অন্যান্য নিপীড়নের বর্ণনা দেন রোহিঙ্গারা। কুতুপালং শিবিরের চারপাশে ২০টির বেশি ক্যাম্পে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে আশ্রিত রয়েছেন মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ৯ লাখ রোহিঙ্গা।
পরে রোহিঙ্গা নেতা কামাল হোসেন বলেন, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের কাছে আশ্রয় শিবিরে থাকার পরিবেশ ও নিরাপত্তাব্যবস্থা কেমন সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। মিয়ানমারে ফিরে যেতে রোহিঙ্গারা রাজি কিনা, মিয়ানমারের পরিবেশ কেমন ইত্যাদি সম্পর্কেও প্রশ্ন করেছেন।
জবাবে রোহিঙ্গারা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী কর্তৃক বর্বর নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, গণহত্যা ও নিপীড়নের ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেন। তবে তারা জন্মভূমিতে ফিরতে ইচ্ছুক বলেও জানান।এক্ষেত্রে শর্ত হলো, তাদের যেখান থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে, সেখানেই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ারও দাবি তাদের। এ বিষয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
রোহিঙ্গা নেতারা জানান, মর্যাদার সঙ্গে তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি মানবিক সেবায় দেশটি রোহিঙ্গাদের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার খালিদ হোসেন।
Posted ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh