বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। রাজনৈতিকভাবে এই সরকারের নৈতিক পরাজয় ইতোমধ্যে হয়েছে।’
১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি তফসিল ঘোষণা করেছে। কোন নির্বাচন? যে নির্বাচনে তারা প্রকাশ্যে সকল লজ্জা ভুলে গিয়ে দর কষাকষি করে সিট ভাগাভাগি করছে। এটার নাম তো গণতন্ত্র হতে পারে না। যদি সিট ভাগাভাগি করে এমপি নির্ধারিত হয় তাহলে তো এই নির্বাচন ইতোমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল কী হবে- কাগজে কলমে তা আগেই লেখা হয়েছে মন্তব্য করে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল কাগজে-কলমে লেখা হয়ে গেছে। ৭ জানুয়ারি শুধুমাত্র সেই ফলাফল ঘোষণা করবে সরকার। কাজেই এটা কোনো নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ধোঁকা দেওয়া যাবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আজকে আমরা কোন বিজয় উদযাপন করতে আসছি তা বর্তমান সরকারকে তুলে ধরতে হবে। এটা কিসের বিজয়, এটা কী এক দলীয় শাসনের বিজয়, নাকি একনায়কতন্ত্র শাসনের বিজয়? এখানে এমন একটি সরকার চলছে যারা মানুষকে কথা বলতে দেয় না, যারা মানুষকে ভোট দিতে দেয় না, যারা অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।’
মঈন খান আরও বলেন, ‘আজ থেকে ৫২ বছর আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের লাখ লাখ মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। একটি স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য। এই কারণে কী করেছিল? তারা করেছিল গণতন্ত্রের জন্য, এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। এই কথা ভুলে গেলে চলবে না। আজকে আ. লীগ এই দেশের কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা চরম দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধংস করেছে। আজ ৫২ বছর পরে এসে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে এই প্রশ্ন করতে হবে যে, আওয়ামী লীগ যদি দাবি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তাহলে তাদের জবাবদিহি করতে হবে কেন তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে বাংলাদেশের একদলীয় স্বৈরাচারী সরকার কায়েম করেছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছি। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে সম্পৃক্ত করেছি। আমরা শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতি করে না। শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় এই দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব, সেই কারণে রাজপথে আছি।’
মঈন খান আরও বলেন, ‘মিথ্যা মামলা-হামলা এবং ভুয়া গায়েবি মামলা দিয়ে সরকার বিগত ছয় সপ্তাহে আমাদের ২৩ হাজার লোককে কারারুদ্ধ করেছে। এসব ভুয়া মামলা দিয়ে আমাদের গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের কারারুদ্ধ করে এই দেশে তারা থাকতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে তারা রাজনৈতিক মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে তারা এক এগারোর ভুয়া মামলা দিয়ে বিদেশে রেখেছে। তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না। আজকে বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তারা জানে যে এই দেশে কোন রকমের ধোঁকাবাজি করে কেউ সরকারে থাকতে পারবে না। আগামীতে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে অপসারিত করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনব ইনশাল্লাহ।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম রেজা হাবিব, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, তাইফুল ইসলাম টিপু,আমিরুজ্জামান খান শিমুল. ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায়সহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
Posted ১:৪৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh