অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুদকের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান আইনজীবী দিয়ে আইনি লড়াই চালাতে পারবেন না। আইনি লড়াই চালাতে লন্ডনে থাকা এই দম্পতি যে আবেদন করেছিলেন তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ১৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত আইনি লড়াই করতে তারেক-জোবায়দার আবেদন খারিজ করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুদকের এই মামলায় দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১৬ মে দিন রেখেছে আদালত। এর আগে গত ২৯ মার্চ তারেক রহমান ও জোবায়দার পক্ষে দুদকের মামলায় শুনানিতে অংশ নিতে ওই আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। ৯ এপ্রিল আবেদনটির শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) আদেশের দিন ধার্য করেন। এক-এগারোর সময় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।

তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর পক্ষে এই মামলার শুনানিতে অংশ নিতে গত ২৯ মার্চ আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। সেদিন আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৯ এপ্রিল ধার্য করেন। দুদকের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া, সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই বছর তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আলাদা রিট আবেদন করেন। এর মধ্যে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

নানা আইনী জটিলতায় আটকে ছিলো মামলাটি। সম্প্রতি হাইকোর্ট তাদের সম্পদের মামলার বৈধতা প্রশ্নে তিনটি রিট ও রুল খারিজ করে দেন। পাশাপাশি নিষ্পত্তির আদেশও দেন আদালত। ১৫ বছর ধরে ঝুলে থাকা এ মামলায় তারেক ও জোবাইদাকে পলাতক আসামী হিসেবে মামলার নথিতে উল্লেখ রয়েছে।

২০২২ সালের ১ নভেম্বর আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেন।