বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
শুভ মহালয়া আজ ১৪ অক্টোবর (শনিবার)। দিনটি উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আগমনধ্বনি বেজে উঠল। এদিন থেকেই শুরু হয়েছে দেবীপক্ষের। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে আজ ভোর থেকেই ছিল শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠের আয়োজন। দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ২০ অক্টোবর থেকে। ওই দিন মহাষষ্ঠী। পরদিন মহাসপ্তমী। ২৪ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসব।
দুর্গাপূজার প্রস্তুতিপর্ব বা মহালয়ার প্রথম প্রহরে শেষ হয় পিতৃপক্ষের; সঙ্গে দুর্গাপূজার মূল অংশের প্রস্তুতিপর্ব হয়। মহালয়ার তাৎপর্য নিয়ে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির কমিটির উপদেষ্টা পুরোহিত প্রণব চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, আজকের দিনটিতে তর্পণ করা হয়। দুর্গাপূজার এই যে মহা আয়োজন হবে, তার আগে দরকার যজ্ঞের। সেই যজ্ঞ নিবেদন করা হয় পিতৃপুরুষকে। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, এদিন পিতৃপুরুষেরা মর্ত্যলোকের কাছাকাছি চলে আসেন। তাঁরা তৃষ্ণার্ত থাকেন। এদিন তর্পণের মাধ্যমে তাঁদের জলদান করা হয়। কাল রোববার থেকে শুরু হবে শুক্লপক্ষের প্রতিপদ। এ সময় তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোর থেকেই সব পূজামণ্ডপে ছিল তর্পণের অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মন্দির ও পূজামণ্ডপগুলোয় নানা আচার-অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আজ সকালে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠান হয়েছে।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মণীন্দ্র কুমার নাথ প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল ছয়টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে চণ্ডী পাঠ করে দেবীকে আহ্বান জানানো হয়। মূল আচার-অনুষ্ঠান হিসেবে ঘট স্থাপন করে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে পূজা করা হয়। সঙ্গে ছিল নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন। শুধু ঢাকেশ্বরী মন্দির নয়, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশনসহ নগরীর বিভিন্ন মন্দিরে এ ধরনের আয়োজন ছিল। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে গতকাল শনিবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সংবাদ সম্মেলন করেছে পূজা উদ্যাপন পরিষদ। এতে বলা হয়, এবার সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে।
Posted ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh