বাংলাদেশ অনলাইন : | বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪
সিলেট-সুনামগঞ্জে ৬০ লাখ মানুষ পানিবন্দি। ছবি : সংগৃহীত
টানা ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। জেলাগুলোর নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বন্যা কবলিতদের জন্য দুই জেলায় প্রায় সাড়ে এগারোশত আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সুনামগঞ্জে সুরমাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, শান্তিগঞ্জ, মধ্যনগর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও জগন্নাথপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। এছাড়া জেলা শহরের সাথে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য সুনামগঞ্জে ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তিল ধারণেরও ঠাঁই নেই। এদিকে, পরিস্থিতির অবনতির কারণে টাঙ্গুয়ার হাওরসহ তাহিরপুর উপজেলার সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে, সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এতে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বন্যা কবলিতদের জন্য ৬২৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রেও পানি ওঠায় বিপাকে পড়েছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাই না পেয়ে নির্মাণাধীন ভবনেও আশ্রয় নিচ্ছেন। এছাড়া বন্যার পানি সিলেট শহরেও ঢুকে পড়েছে। বন্যার কারণে জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
Posted ৫:৪৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh