নানা সংকট, চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে ৭৬ বছর পার করলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ৭৭-এ পা রাখলেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার বড় কন্যা শেখ হাসিনা। তার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতী নদীবিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় পিতৃভূমে। চার দশক ধরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনসহ পরবর্তী দুবার জয়ের ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে তারই নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে তার বিচক্ষণতায়। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও আজ বিশ্বনেতাদের কাছে একটি প্রশংসিত নাম শেখ হাসিনা। শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা। বাংলাদেশ পেয়েছে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা। শেখ হাসিনার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। তার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে আর্থ-সামাজিক খাতে দেশে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার অনুপস্থিতিতেই দিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করবে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, দোয়া-প্রার্থনা, আনন্দ র‌্যালি, আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন।