সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের চুল্লি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ অনলাইন :   |   রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের চুল্লি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

পাবনার রূপপুরে নির্মীয়মাণ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর ভেসেল বা পারমাণবিক চুল্লি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০ অক্টোবর (রোববার) বেলা পৌনে ১২টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন তিনি।

এই চুল্লি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। যেখানে মূল জ্বালানি (ইউরেনিয়াম) থাকবে। এটিকে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের হৃৎপিণ্ডও বলা হয়। চুল্লি স্থাপনের বিষয়টি বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আরেকটি মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এই পারমাণবিক চুল্লি নির্মিত হয়েছে রাশিয়ায়। ভিভিআর-১২০০ মডেলের এই রি-অ্যাক্টরে পরমাণু জ্বালানি পুড়িয়ে মূল শক্তি উৎপাদন হবে এবং এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার প্রথম ইউনিটটির নির্মাণকাজ ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ হবে। এই ইউনিট প্রতিদিন এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে এতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে। সমান সক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট একই বছরের শেষ দিকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে পারবে।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান যান্ত্রিক অংশ হলো রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল। এটি এরই মধ্যে স্থাপিত হয়েছে। এর আগে ভূমি ভবনসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়েছে। এখন বাকি যা কাজ রয়েছে তার প্রায় পুরোটাই যান্ত্রিক ও কারিগরি।


নিউক্লিয়ার পাওয়ার কম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর বলেন, চলতি বছরের মধ্যে মোট কাজের ৫০ শতাংশ শেষ হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে প্রথম ইউনিট চালু করা যাবে। এরই মধ্যে নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বসানো হয়েছে। এরপর স্টিম জেনারেটর বসানো হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে কোল্ড টেস্ট, হট টেস্ট এবং সিস্টেম টেস্ট করা হবে। ধাপে ধাপে কাজগুলো শেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে এগিয়ে যাব।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আর্থিক বিবেচনায় এটি দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। বেশির ভাগ খরচ (৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি) রাশিয়া সরকারের ঋণ সহায়তা থেকে নির্বাহ করা হচ্ছে।


জানা যায়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। ২০১০ সালে রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিয়ে ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট হয়। একই বছর জাতীয় সংসদে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরপর বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেটরি অ্যাক্ট পাস হয় ২০১২ সালে। ২০১৩ সালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম পর্যায়ের কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর থেকে পর্যায়ক্রমে প্রকল্পটির কাজ এগিয়ে চলছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন নেতৃত্ব দিচ্ছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে।

advertisement

Posted ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

কাঁঠাল সমাচার
কাঁঠাল সমাচার

(1403 বার পঠিত)

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.