মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ | ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য

সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ ছাড়াল সাড়ে ৮ লাখ কোটি টাকা

বাংলাদেশ অনলাইন :   |   বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ ছাড়াল সাড়ে ৮ লাখ কোটি টাকা

ছবি : সংগৃহীত

অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের নেওয়া পুঞ্জীভূত ঋণ সাড়ে ৮ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক আর্থিক সংকট, বিনিয়োগ পরিবেশ না থাকা, আন্তর্জাতিক ঋণমান নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণমান কমিয়ে দেওয়াসহ নানা কারণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ও ঋণ দুটোই কমেছে। এতে বাজেট বাস্তবায়নের পাশাপাশি রিজার্ভ নিয়েও বিপাকে সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে সরকারের বিভিন্ন ধরনের ব্যয় মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎসগুলোতেই ঝুঁকতে দেখা গেছে। সাড়ে ৮ লাখ কোটি টাকার এই পুঞ্জীভূত ঋণ বিভিন্ন সময়ে ধার করারই ধারাবাহিকতা মাত্র। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এক বছরে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের নেওয়া ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি বেড়েছে। ২০২৩ সালের মার্চে সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎসের পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের একই সময় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা কিছুটা কমেছে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎসের প্রকৃত ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬৫ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ঋণ নেওয়া কমেছে ১৮ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা।

জানতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকার ট্যাক্স জিডিপি বাড়াতে না পারার কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ করতে হচ্ছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ নেই। তাই সরকারকে ঋণ দিতে পারছে। তার মানে, সব সময় দিতে পারবে তা নয়। তিনি বলেন, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ মার্কেট ঠিক হলে তখন বেসরকারি খাতের ঋণের চাহিদা বাড়বে। তখন ঋণ দেওয়ার চাপ থাকবে। ওই সময় ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে না পারলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আর সরকারের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা থাকতে হবে। ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যাংকে শোধ করলে কোনো লাভ নেই।

তথ্য বলছে, বর্তমানে সরকারের পুঞ্জীভূত ঋণের সবচেয়ে বেশি ব্যাংকবহির্ভূত খাতে। অর্থাৎ গত মার্চ শেষে সঞ্চয়পত্র, বিল ও বন্ড বিক্রি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া সরকারের ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা। একই সময়ে ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৫ কোটি টাকা।

এদিকে সরকার চলতি অর্থবছর ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা কমিয়েছে। মূলস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সরকার ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৪ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যাংকে সরকারের ঋণ ছিল ৬১ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের শেষ দুই মাসে ব্যাংক থেকে ঋণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ব্যাংক খাত থেকে নিট ৬১ হাজার ৩২০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার।

এ ছাড়া গত জুলাই-মার্চ সরকারের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া কমলেও ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে সরকার মোট ২৪ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা ঋণ করেছে। এর মধ্যে সরকার সঞ্চয়পত্রের আসল বাবদ ১২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে। ফলে জুলাই-মার্চ সময়ে ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে সরকারের ঋণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার কোটি ৯৫ টাকায় নেমেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪ হাজার ৩৪ কোটি টাকা।

এদিকে ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট থাকা সত্ত্বেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আরও ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। ঘাটতি বাজেট মেটাতে আগামী অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ঘোষিত বাজেটের ১৭ শতাংশের বেশি।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময় ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত বাজেটে এ লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

Posted ১০:২০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

কাঁঠাল সমাচার
কাঁঠাল সমাচার

(1767 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

86-47 164th Street, Suite#BH
Jamaica, New York 11432

Tel: 917-304-3912, 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.