বাংলাদেশ অনলাইন : | বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বিগত সরকারের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে অপ্রয়োজনীয় টানাপড়েন ছিল, এই সময়ে সম্পর্কের টানাপড়েন কেটেছে। ১৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কোন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উষ্ণ হয়েছে বা কারও সঙ্গে শীতল হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বিগত সরকারের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে অপ্রয়োজনীয় টানাপড়েন ছিল, এই সময়ে সেটা কেটে গেছে। এসময় গত ১৫ বছর বিভিন্ন মিশনে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কূটনীতিকদের বিষয়ে বর্তমান সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, শুধু বিগত সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যুক্তিযুক্ত না। নিয়মনীতির বাইরে গিয়ে কোনো কূটনীতিক কাজ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাকে ফেরানোর বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমি খবরটা জেনেছি। আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আদালত একমাস সময় দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে তাকে ফেরত আনার জন্য যা যা প্রয়োজন সেটি অবশ্যই আমরা করব। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল থেকে যে ৪০-৪৫ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তারা কে কোথায় আছে সেটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানার চেষ্টা করছে বলেও জানান তৌহিদ হোসেন।
শেখ হাসিনাকে কোন প্রক্রিয়ায় ফেরত আনা হবে— এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কীভাবে আনা হবে সেটি গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হলো কোর্ট বলেছে তাদের গ্রেপ্তার করতে। পরোয়ানা তো আমার কাছে আসেনি এসেছে পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশ সেটি পারবে না, কারণ সে দেশে নেই। যখন আমাদের কাছে আসবে তখন দেখা যাবে। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান কোথায়, তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে ধোঁয়াশা চলছিল। কখনও দুবাই আবার কখনো ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে খবর চাউর হয়েছিল। এসময় শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থান কোথায় জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, ‘শেখ হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য এখনো আসেনি। তবে আনঅফিসিয়ালি জানা গেছে- তিনি দিল্লিতেই রয়েছেন।’
তবে বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্ট্যাটাস (শ্রেণি) জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, মাত্র খবরটা এসেছে। সামনে হয়ত আপডেট পাব। বিস্তারিত আসলে হয়ত জানাতে পারব।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত ১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ১৮ নভেম্বেরর মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা ছাড়াও ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদসহ মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
Posted ৯:২৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh