বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১
বিভিন্ন বিতর্কের জেরে সম্প্রতি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেই দেশত্যাগ করেছেন ডা. মুরাদ হাসান। প্রাথমিক গন্তব্য কানাডা হলেও বাংলাদেশের এই সাংসদকে প্রবেশ করতেই দেয়নি দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি। মুরাদকে টরেন্টোর পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফিরতি ফ্লাইটে দুবাইতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) কানাডার স্থানীয় সময় ১.৩১ মিনিটে টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন মুরাদ হাসান। সেখানকার ইমিগ্রেশনে এই সাংসদকে নারীদের হয়রানি, অপমান এবং নির্যাতনের কারণে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেইসঙ্গে তার কাছে বিভিন্ন ভিডিও, ছবি ও সংবাদের বিষয়ে জানতে চায় তারা।
একইসঙ্গে কী কারণে বাংলাদেশ ছেড়ে কানাডায় এসেছেন, সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয় মুরাদের কাছে। কিন্তু কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হন ডা. মুরাদ। তার সরকারি ও ব্যক্তিগত পাসপোর্ট জটিলতার বিষয়েও কানাডা ইমিগ্রেশন জানতে চাইলে কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তিনি। পরে কানাডা পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে পুনরায় দুবাইয়ে ফেরত পাঠানো হয় সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে।
উল্লেখ্য, ডা. মুরাদ হাসান গত সেপ্টেম্বর ২০২১’এ সরকারি সফরে কানাডার টরন্টো, মন্ট্রিয়ল, অটোয়া, কেল গেরি, ভেঙ্কুভারসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সফর করেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভায় অংশ নেন। তিনি সে সময় বাংলাদেশ সরকার এর তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
অশালীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত, নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য প্রদান এবং এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে অশালীন ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর গত সোমবার জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগ করেন। সেদিন রাতেই তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
Posted ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh