বাংলাদেশ অনলাইন : | রবিবার, ০৭ আগস্ট ২০২২
চলন্ত বাসে হঠাৎ স্বামীকে মারপিট শুরু করেন চালক ও তার সহকারীসহ দু’তিনজন। বাস চালাচ্ছিল অন্য যুবক। স্বামীকে রক্ষায় এগিয়ে এলে স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে বাসের মেঝেতে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর একে একে বাসচালকসহ অন্যরা তাঁকে ধর্ষণ করে। এক ফাঁকে আহত স্বামীকেও বাস থেকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬ আগস্ট (শনিবার) রাতে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী। পরে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রী দু’জনই পোশাক কারখানার শ্রমিক। ভালুকার স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকার একটি কারখানায় চাকরি করেন। নওগাঁর গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। এ জন্য তাঁরা শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নওগাঁ শহর থেকে একতা পরিবহনের একটি বাসে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় নামেন। রাত ৩টা ১০ মিনিটের দিকে ভালুকার স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকার ভাড়া বাসায় ফেরার জন্য তাঁরা তাকওয়া পরিবহনের একটি মিনিবাসে চড়েন। এ সময় ওই বাসে যাত্রী ছিলেন ৭-৮জন।
গাজীপুর সদরের হোতাপাড়া ও শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি এলাকায় বেশিরভাগ যাত্রী নেমে যান। পরে মাওনা ফ্লাইওভার পার হওয়ার পর হঠাৎ করেই স্ত্রীর সামনে স্বামীকে মারপিট শুরু করে বাসের স্টাফরা। তাঁকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এরই মধ্যে আহত স্বামীকে এমসি বাজার এলাকায় রাস্তার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। পরে আবার গাড়ি ঘুরিয়ে জয়দেবপুরের দিকে যেতে থাকে তারা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রাস্তা থেকে উঠে আহত স্বামী হেঁটে স্কয়ার মাস্টার বাড়ির ভাড়া বাসায় পৌঁছান। এরই মধ্যে গাজীপুর মহানগরের কোনো এক স্থান থেকে স্ত্রী তাঁকে ফোন করে ধর্ষণের কথা জানান। পরে তারা গাজীপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে বিষয়টি জানালে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে থাকা নগদ টাকা-পয়সাও তারা নিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে তাকওয়া বাসটি জব্দ ও লুট করা মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট রাতে ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাস কুষ্টিয়ার ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে যাত্রীবেশে ডাকাত দল উঠে প্রথমে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে যাত্রীদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর এবং লুটের পর এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ডাকাত দল বাসটি ঘুরিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের সামনে ফেলে রেখে নেমে যায়।
Posted ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৭ আগস্ট ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh