বাংলাদেশ অনলাইন : | বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
গুমের অভিযোগে জড়িত সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদর দপ্তর (সেনা সদর)। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, যেসব সেনা সদস্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রেষণে কর্মরত থাকেন, সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে না। তবে গুমের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে সেনা সদরের উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশন্স ডিরেক্টরেটের (কর্নেল স্টাফ) কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, “গুমের সঙ্গে কোনো সেনা সদস্যের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সেনাবাহিনী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না।”
এ সময় তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক জুলাই আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে মোট ৪ হাজার ৭৯০ জনকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ২২ জন রোগী ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন দায়িত্ব ও কার্যক্রম সম্পর্কেও অবহিত করা হয়। কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানান, “সাম্প্রতিক রথযাত্রা উপলক্ষে সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করেছে। এছাড়া কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৪০০ সদস্যকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।”
তিনি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সেনাবাহিনী ২৩ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। এই অভিযানে একজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন বলেও তিনি জানান।
সেনা সদর থেকে জানানো হয়েছে, দেশ ও জনগণের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী সবসময় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
Posted ১০:৪৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh