বাংলাদেশ অনলাইন : | বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
অবৈধভাবে তথ্য পাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ৩ বছর এবং দুদক থেকে বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৮ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে বাছিরকে ৫ বছরের সাজা খাটতে হবে।
২৩ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে, বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে বিচারক ১০৯ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন। এ সময়ে এজলাসের চেয়ার বসে দুই আসামি মিজান ও বাছিরকে মনোযোগ দিয়ে রায় শুনতে দেখা গেছে।
এদিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের উপস্থিতিতে বেলা ১১ টা ১৩ মিনিটে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। মামলার তদন্ত চলাকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ অভিযোগ ওঠার পর বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক শেখ ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ওই বছরের ১৬ এপ্রিল আদালত দুই আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারের আদেশ দেন। এরপর গত ১০ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
Posted ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh