বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন স্মরণে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ১৯ অক্টোবর (মঙ্গলবার) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়, অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পরে শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া শেখ রাসেলের জীবন বিষয়ক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি শেখ রাসেলের জন্ম দিবসকে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, এর মাধ্যমে দেশের শিশু-কিশোররা শেখ রাসেল সম্বন্ধে আরও জানতে পারবে, যা তাদের মানবতাবাদী ও অধিকারবোধ সম্পন্ন ভবিষ্যৎ নাগরিকে পরিণত করবে। শেখ রাসেলকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত বই ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ পড়ার জন্য প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতার বর্বরোচিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ঘাতকেরা নিষ্পাপ ও কোমলমতি শিশু রাসেলকেও রেহাই দেয়নি। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের পালিয়ে থাকা খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন তা তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের আওতায় আনতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রদূতের স্বাগত বক্তব্যের পর মুক্ত আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, শেখ রাসেল দিবস উদযাপনের মাধ্যমে শেখ রাসেলের পবিত্র স্মৃতি আজীবন সবার মাঝে বেঁচে থাকবে, যা শিশু-কিশোরদের নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করবে।
Posted ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh