বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক : | রবিবার, ২১ জুন ২০২০
চীনের রাজধানী পেইচিংয়ের পাইকারি খাদ্য বাজারের মাংস ও সামুদ্রিক খাবারে ভয়াবহ মাত্রায় নতুন করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এলাকাটিতে কম তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বেশি হওয়াই ভাইরাসের মাত্রা বাড়ার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ১৮ জুনের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন চীনের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল’-এর প্রধান উ সানিউ। শহরটির বৃহত্তম সিনফাদি বাজার থেকে গত সপ্তাহে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ সামাল দেওয়ার চেষ্টার মধ্যে খাবারে ভাইরাসের মারাত্মক উপস্থিতি ধরা পড়ার প্রাথমিক এ রিপোর্ট দিলেন কর্মকর্তারা।
গত ১৮ জুন দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পেইচিংয়ের ৮০ শতাংশ সবজি এবং মাংস সরবরাহ হয় সিনফাদি বাজার থেকে।
পেইচিংয়ে গত ফেব্রুয়ারির পর ১১ জুন আবার নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
সিনফাদি বাজারে কাজ করা যাদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের বেশির ভাগই সামুদ্রিক খাবার এবং জলজ পণ্য কেনাবেচার কাজ করেন। অন্যরা মাংস কেনাবেচার কাজ করেছেন। তবে সামুদ্রিক খাবারের বাজারের কর্মীদের মধ্যে অন্যদের চেয়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে আগে।
উ সানিউ বলেন, কম তাপমাত্রা ভাইরাস টিকে থাকার জন্য অনুকূল। তা ছাড়া, বেশি আর্দ্রতার কারণেও সামুদ্রিক খাবারের বাজারগুলো করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের উৎস হতে পারে। প্রাথমিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে এমন ধারণাই পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা দরকার বলেও জানান উ।
গত সপ্তাহে সিনফাদি বাজারে আমদানি করা স্যামন মাছ কাটার চপিং বোর্ডে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়ার কথা জানিয়েছিল রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এরপরই ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কায় চীন ইউরোপ থেকে স্যামন আমদানি বন্ধ করেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এমনকি স্যামন মাছ না খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন।
এ অবস্থায় চীনের সেন্ট্রাল কমিশন ফর ডিসিপ্লিন ইন্সপেকশন (সিসিডিআই) জরুরি ভিত্তিতে বাজারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করা এবং মানসম্মত স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা গড়ে তুলে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
Posted ৬:০৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২১ জুন ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh