বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন নিজের জীবন থাকতে দেশের স্বার্থ কারও কাছে বিলিয়ে দেবেন না বলে। তিনি বলেন, ‘সরকারের ধারাবাহিকতার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের এতটুকু স্বার্থ আমার জীবন থাকতে নষ্ট হবে না। দেশের স্বার্থ কারও কাছে বিলিয়ে দেওয়া হবে না।’
২৪ ডিসেম্বর (শনিবার) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ রকম এক সম্মেলনে আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে সভাপতি করা হয়। ছেলেমেয়েদের দায়িত্ব রেহানার ওপর ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছিলাম। স্বাধীনতার সুফল যেন মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায় সেটাই ছিল লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যাতে সরকারে না আসতে পারে, অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের এতটুকু স্বার্থ কারো হাতে তুলে দেব না, এটাই ছিল আমার প্রতিজ্ঞা।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন কী ছিল? নির্বাচন মানেই ছিল ১০টা হুন্ডা ২০টা গুণ্ডা নির্বাচন ঠান্ডা। এই নির্বাচনী সংস্কার আওয়ামী লীগ, ১৪ দল, মহাজোট মিলে আমরা একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর যে কাজই করুক, আমাদের জেল খাটাক আর যাই করুক—তারা অন্তত সেই প্রস্তাবের কিছু কাজ বাস্তবায়ন করে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের স্লোগান আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। যাকে আমার পছন্দ তাকে ভোট দেব। নাগরিকের যে সাংবিধানিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার তা আওয়ামী লীগই সচল করেছে। জানি এই ভোট নিয়ে অনেকেই কন্ট্রোভার্সিয়াল করতে চায় অনেকেই অনেক কথা বলে কিন্তু আমরা সেটা করেছি।’
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন করে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দিয়েছি। বাজেট থেকে তাদের আলাদা করে টাকা দেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্বাচন হয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু কারও ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না। এ দেশের মানুষ মেনে নেয়নি। গণঅভ্যুত্থান, আন্দোলন হয়েছিল। খালেদা জিয়া ৩০ মার্চ পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। বাংলার জনগণ তাকে বাধ্য করেছিল। এর পরে ১২ জুন যে নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনে আমরা সরকার গঠন করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশটাকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম, বিদ্যুতের উৎপাদন-স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করেছিলাম, রাস্তাঘাট-যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতুসহ অনেক কাজ করে বাংলাদেশকে আমরা একটা জায়গায় নিয়ে এসেছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য ২০০১-এ আমরা সরকারে আসতে পারিনি। কেন পারিনি অনেকবার বলেছি, আর বলতে চাই না; বাংলাদেশের এতটুকু স্বার্থ আমার জীবন থাকতে নষ্ট হবে না, কারও হাতে তুলে দেব না। আমার এই প্রতিজ্ঞাই ছিল। হয়তো সে কারণে আমরা আবার আসতে পারিনি। তাতে আমার আপসোস নেই।’
Posted ২:২৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh