বাংলাদেশ অনলাইন : | শুক্রবার, ০৯ আগস্ট ২০২৪
ছবি : সংগৃহীত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশে ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তবে হাসিনা নির্বাচনে লড়বেন কি না, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। ৯ আগস্ট (শুক্রবার) টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে গত ৫ আগস্ট তীব্র ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান শেখ হাসিনা। তার প্রায় চার দিন পর, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। সরকার গঠনের পরপরই জয়ের তরফ থেকে এই মন্তব্য এল। এই সরকারের অন্যতম দায়িত্ব একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আপাতত, তিনি (হাসিনা) ভারতে আছেন। অন্তর্বর্তী সরকার যখনই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেবে তখনই তিনি বাংলাদেশে ফিরে যাবেন।
এর আগে বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, যখন বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে তখনই তিনি (শেখ হাসিনা) ফিরে আসবেন। যদিও জয় তারও আগে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, হাসিনা আর কখনও দেশে ফিরবেন না, রাজনীতিতেও ফিরবেন না।
জয় বলেন, ‘আমার মা বর্তমান মেয়াদের পরে রাজনীতি থেকে অবসর নিতেন। আমার কখনোই কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না এবং আমি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশে গত কয়েক দিনের ঘটনাবলির ঘটনা প্রমাণ করে যে সেখানে নেতৃত্বের শূন্যতা রয়েছে। দলের স্বার্থে আমাকে সক্রিয় হতে হয়েছে এবং আমি সামনের সারিতে আছি এখন।’
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে কয়েক সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর গত সোমবার ৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাকে ৪৫ মিনিটের আলটিমেটাম দেওয়ার পর তিনি ঢাকা থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান। সেখান থেকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
তবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের যে অভিবাসন আইন রয়েছে; সেখানে কোনো ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করে এসে রাজনৈতিক বা সাধারণ আশ্রয় নেওয়ার বিধান নেই।
Posted ৪:৫০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৯ আগস্ট ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh