বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেন। খবর : বিবিসির।
ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসন শুরু করার পর থেকেই মস্কোর ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমা দেশগুলো। এসব পদক্ষেপের কারণে ক্ষিপ্ত পুতিন বলেন, রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা ‘পাগলামি ও অবিবেচনাপ্রসূত’। ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ অর্থনৈতিক আক্রমণ প্রথম থেকেই সফল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না’, যোগ করেন তিনি। সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইকনোমিক ফোরামে পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর ৪০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হতে পারে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ২৭ সদস্যের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে এবং ইউরোপের মানুষদের স্বার্থ পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সতর্ক করেছে যে, নিষেধাজ্ঞার কারণে রুশ অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
এদিকে শুক্রবার সেবারব্যাংকের প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, ২০২১ সালে রাশিয়ার অর্থনীতি যেমন ছিল সে অবস্থায় পুনরায় ফিরিয়ে আনতে এক দশকের বেশি সময় লাগতে পারে। এর মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ব্যবসায়ীদের সেখানে ব্যবসা পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখানে বিনিয়োগ করুন। অর্থ আপনার ঘরে বেশি নিরাপদ। যারা এটি শুনতে চায়নি তারা লাখ লাখ টাকা হারিয়েছেন।
খাদ্য সংকটের শঙ্কার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ৬৯ বছর বয়সি এ নেতা দাবি করেন, রাশিয়া চাইলে উল্লেখযোগ্যভাবে শস্য ও সার রপ্তানি বাড়াতে পারে। শুধু শস্য রপ্তানি বাড়িয়ে ৫০ মিলিয়ন টনে নিতে পারে। রাশিয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনও বিশ্বের অন্যতম শস্য রপ্তানিকারক দেশ। কিন্তু কৃষ্ণসাগরে তার বন্দরগুলো অবরুদ্ধ হয়ে আছে বলে শস্য রপ্তানি করতে পারছে না। সর্বশেষ শুক্রবারও ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের সেভেরোদোনেস্ক শহর তীব্র লড়াই অব্যাহত ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই সেভেরোদোনেৎস্ক ও লিসিচানস্ক দখলের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা। রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। প্রথমদিকে রুশ সেনারা কিয়েভের কাছাকাছি চলে গেলেও সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পরে জানানো হয় পরিবর্তন এসেছে তাদের যুদ্ধের পরিকল্পনায়। জানানো হয়, এখন দক্ষিণ ও পূর্ব ইউক্রেন দখলই মস্কোর অন্যতম লক্ষ্য।
Posted ৪:২৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh