বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪
ছবি : সংগৃহীত
টানা বৃষ্টিতে সিলেট অন্তত ৫০টি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও কোমর পানি দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদ আনন্দ ফিকে হয়ে গেছে নগরবাসীর। সিলেটের ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলার প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার তিনটি নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে।
জানা যায়, নগরীর সোবাহানীঘাট, যতরপুর, উপশহর, পাঠানটুলা, দরগামহল্লা, পায়রা, সুবিদবাজার বনকলাপাড়া, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, কাজলশাহ, মেডিকেল রোড, বাগবাড়ি, কালীবাড়ি, হাওলাদারপাড়া, তেরোরতন, সোনারপাড়া, কেওয়াপাড়া, সাগরদিঘিরপার, মিয়া ফাজিলচিশত, জালালাবাদ, হাউজিং এস্টেট, শাহি ঈদগাহ, ঘাসিটুলা, হাওয়াপাড়া, মীরাবাজার, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, জামতলা ও তালতলা এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, সোমবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সিলেটে তিনটি নদীর পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি বলেন, সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ও সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর, বিশ্বনাথ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, গোলাপগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার ৫১২টি গ্রামের ১ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
Posted ১২:১৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh