বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
পারস্পরিক তিক্ততা দূর করতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এবারই প্রথম বৈঠকে বসলেন জো বাইডেন। ১৫ নভেম্বর (সোমবার) বহুল আকাঙ্ক্ষিত এ বৈঠকটি ভার্চুয়ালি শুরু হয়। উভয় নেতা এমন এক সময়ে এই বৈঠকে বসলেন যখন তাইওয়ান, হংকং এবং উইঘুরদের সাথে বেইজিংয়ের আচরণ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে।
এদিকে উন্মুক্ত সংঘর্ষ এড়াতে যোগাযোগ স্থাপন করা প্রয়োজন বলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উদ্দেশে বলেছেন জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসে বসে একটি টেলিভিশন স্ক্রিনে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় বাইডেন বলেন, ‘ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত ভাবেই হোক না কেন, আমাদের দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা আছে। তবে সেই প্রতিযোগিতা যেন সংঘর্ষের দিকে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অবশ্যই সীমারেখা তৈরি করতে হবে।’
অন্যদিকে বেইজিং থেকে শি জিনপিং বলেন, উভয় দেশ বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ‘নিজের পুরোনো বন্ধু’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই পরাশক্তিকে আরও ঘনিষ্ঠ ভাবে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন। চীনা প্রেসিডেন্টের ভাষায়, ‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের ভেতরে যোগাযোগ ও সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে। শত্রুদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হয়।’
সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ চীন সাগরে তাইওয়ান নিয়ে বৈশ্বিক এই দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন থেকে শুরু করে একাধিক সামরিক শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বেইজিং।
দক্ষিণ চীন সাগরে তাই এখন যুদ্ধের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীনতা হারানোর ভয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, চীনের হাত থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্র। আর বাইডেনের এই ঘোষণায় কোনোভাবেই সন্তুষ্ট ছিল না চীন। খবর : রয়টার্স
Posted ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh