বাংলাদেশ অনলাইন : | বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের তাণ্ডবে গত এক সপ্তাহে সংক্রমণ বেড়েছে ১১ শতাংশ। আর তাই ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন হিসেবে চিহ্নিত ওমিক্রন থেকে সামগ্রিকভাবে সংক্রমণের ঝুঁকি এখনও অনেক বেশি। ২৯ ডিসেম্বর (বুধবার) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই তথ্য সামনে আনে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
মহামারি সংক্রান্ত সাপ্তাহিক আপডেটে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্তের পর বিশ্বের বহু দেশে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। এরপরই সেসব দেশে করোনার সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়। এমনকি এমন অনেক দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে যেসব দেশ ইতোমধ্যেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার শীর্ষ এই সংস্থাটির ভাষায়, ‘করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন হিসেবে চিহ্নিত ওমিক্রন থেকে সামগ্রিকভাবে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি এখনও অনেক বেশি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ক্রমাগত যে প্রমাণগুলো পাওয়া যাচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনের ক্ষেত্রে দুই-তিনদিনের মধ্যেই সংক্রমণ দ্বিগুণ আকারে বৃদ্ধি হচ্ছে। একাধিক দেশে করোনা সংক্রমণও দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই ডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে ওমিক্রন।’
এদিকে হঠাৎ করে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অধিক সংক্রামক ক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়ার কারণেই সংক্রমণের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গেলেও মাস খানেকের মাথায় দেশটিতে সংক্রমণের হার প্রায় ২৯ শতাংশ কমে গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গত অক্টোবর মাস থেকেই বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ধীরে ধীরে কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও, ওমিক্রনের কারণে গত এক সপ্তাহেই সংক্রমণের হার ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও মৃত্যুর হার আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আর সংখ্যার হিসেবে গত এক সপ্তাহে বিশ্বে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ লাখ মানুষ এবং প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ হাজার মানুষ।
সংস্থাটি বলছে, বর্তমানে ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ডেনমার্কেই মাথাপিছু সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। এই দেশগুলোর তথ্য বলছে, ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
তবে ওমিক্রন সংক্রমণ কতটা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রেই বা কতটা প্রভাব পড়তে পারে কিংবা মৃত্যুর হার কত হতে পারে, তা জানতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
Posted ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh