বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২০
সায়েন্স নিউজ নামের একটি সংবাদমাধ্যমের বিচারে বাছাই করা ১০ বিজ্ঞানীর একজন বাংলাদেশি তরুণী তনিমা তাসনিম অনন্যা। কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য ‘এসএন টেন : সায়েন্টিস্ট টু ওয়াচ’ নামের এই তালিকায় শুরুর দিকে স্থান করে নিয়েছেনর অনন্যা।
সায়েন্স নিউজের ওয়েবসাইটে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো এমন বিজ্ঞানীর তালিকা প্রকাশ করল তারা। কৃষ্ণগহ্বরের নিখুঁত ছবি তৈরি করেছেন তনিমা তাসনিম অনন্যা। গবেষণার এ কাজকেই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছে সায়েন্স নিউজ। সেখানে বাংলাদেশি এ তরুণীর কাজকে ‘অসাধারণ গবেষণা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
তনিমা তাসনিম অনন্যা এর আগে নাসা ও সার্নে ইন্টার্নশিপ করেছেন। এ ছাড়া তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছুদিন পড়াশোনা করেছেন। ২০১৯ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করেন তনিমা।
সায়েন্স নিউজের ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, তনিমা তাসনিম একজন মহাকাশবিজ্ঞানী। বর্তমানে ডার্টমাউথ কলেজের সঙ্গে তিনি যুক্ত আছেন। এক সময় ঢাকার বাসিন্দা তনিমা কৃষ্ণগহ্বরের পূর্ণাঙ্গ চিত্র এঁকেছেন। তাতে তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে কৃষ্ণগহ্বরগুলো বেড়ে ওঠে এবং পরিবেশে কী প্রভাব রাখে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে তিনি এ কাজ করেছেন।
সায়েন্স নিউজ ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি স্বাধীন ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বিজ্ঞান, ওষুধ ও প্রযুক্তির হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করাই এর প্রধান লক্ষ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান ছয় বছর আগে থেকে তরুণ ও ক্যারিয়ারের মাঝামাঝি থাকা বিজ্ঞানীদের একটি শীর্ষ তালিকা প্রস্তুত করে আসছে। এই তালিকায় ৪০ বছর বা তার কম বয়সী বিজ্ঞানীরা স্থান পেয়ে থাকেন। এবার সেই তালিকাতেই বাংলাদেশি তনিমা তাসনিম জায়গা করে নিলেন।
সায়েন্স নিউজের ওয়েবসাইটে আরও লেখা হয়েছে, পাঁচ বছর বয়সে ঢাকায় থাকার সময় থেকেই তনিমা তাসনিমের মধ্যে মহাকাশের স্বপ্ন বুনে দেন তার মা। তিনি মেয়েকে তখন শোনাতেন মঙ্গলে অভিযানে যাওয়া পাথফাইন্ডার মহাকাশযানের গল্প। সেই থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে তনিমার। তিনি জানান, ওই সময় থেকেই মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখতেন।
Posted ৭:১৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh