বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়দার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তার পরিকল্পনা ও নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের ভয়াবহতম সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এর মাত্র তিন বছরের মধ্যেই আরেকটি বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল লাদেনের। সেটিও আগের মতো একই ধরণের পরিকল্পনা মাফিক হওয়ার কথা ছিল। সিবিএস নিউজের এক রিপোর্টে এসব কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১১ সালে পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা লাদেনকে হত্যা করে মার্কিন ন্যাভি সিলের সদস্যরা। তাকে হত্যার পর যেসব নথি উদ্ধার করা হয়, সেখানেই এই দ্বিতীয় হামলার পরিকল্পনার কথা লেখা আছে। নাইন ইলেভেনের মতো আবারও বিমান দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন লাদেন। তবে এবার যাত্রীবাহী বিমানের পরিবর্তে প্রাইভেট জেট ব্যবহারের কথা ভেবেছিলেন তিনি।
তার এই পরিকল্পনার কথা প্রথম বুঝতে পারেন নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ নেলি লাহুদ।
তিনি সিবিএস-কে জানান, যদি প্রাইভেট জেট দিয়েও হামলায় ব্যর্থ হন, তাহলে বিকল্প আরেকটি হামলার কথা ভেবে রেখেছিলেন লাদেন। তিনি মার্কিন কোনো ট্রেনকে লাইনচ্যুত করে ব্যাপক মানুষকে হত্যার কথা ভেবেছিলেন।
নাইন ইলেভেন হামলার পর লুকিয়ে বাঁচতে শুরু করেন লাদেন। তবে সেখান থেকেও আল-কায়দা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। এসময় পরবর্তী হামলার বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন। লাহুদ বলেন, লাদেন চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেনের একটি ১২ মিটারের স্টিল রেল সরিয়ে ফেলতে। এতে করে বড় দুর্ঘটনার শিকার হতো ট্রেনটি। ওই কাজটি করতে যেসব যন্ত্র লাগতো তাও জানিয়ে দিয়েছিলেন লাদেন।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আরও হামলার পরিকল্পনা ছিল লাদেনের। এরমধ্যে আছে, ছোট মাছ ধরার নৌকায় বিস্ফোরক নিয়ে মার্কিন বন্দরে বিস্ফোরণ ঘটানো। এতে বড় ট্যাংকার ডুবে গিয়ে মার্কিন অর্থনীতির বড় ক্ষতি করতো। এই মাছ ধরার নৌকা যেখান থেকে কিনতে হবে এবং কীভাবে এই নৌকা ব্যবহার করে হামলা চালাতে হবে তার বিস্তারিতও তিনি আল-কায়দার সদস্যদের জানিয়েছিলেন। তবে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের মধ্য দিয়ে তার এসব স্বপ্ন ধুলায় মিশে যায়। মার্কিন হামলায় আল-কায়দা চাপে পড়ে যায়। ২০০৬ সালে সংগঠনটির কাছে মাত্র ২ লাখ ডলার ছিল। ফলে লাদেনের এসব পরিকল্পনা কখনো আর বাস্তবে রূপ নিতে পারেনি।
Posted ১:৪৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh