বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০২৪
মুদি দোকানকার আবু সায়েদকে (৪৫) হত্যার অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলা মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে এসএম আমীর হামজা নামে একজন ব্যবসায়ী বাদী হয়ে এই মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন। পরে আদালত এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মামুন মিয়া এ তথ্য জানান। মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি হারুন-অর-রশীদ ও অতিরিক্ত যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার। গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টায় মোহাম্মদপুর থানার বছিলায় ৪০ ফিট চৌরাস্তায় আবু সায়েদ কোটা আন্দোলনের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বসিলায় ৪০ ফিট চৌরাস্তায় হাজার হাজার ছাত্র জনতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করছিলেন। সেই আন্দোলন দমনের জন্য পুলিশ নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়। সেই সময় আবু সায়েদ রাস্তা পার হয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তার মাথার এক পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন জানায়, আবু সায়েদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার পর স্থানীয়রা তার লাশ গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়োয়া বামনহাট ইউনিয়নের নতুন বস্তি প্রধানহাটে পাঠিয়ে দেয় এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয়। নিহত আবু সায়েদের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ে এবং তার পরিবার অত্যন্ত গরীব। তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না। এ কারণে সচেতন নাগরিক হিসাবে বাদী এ মামলার আবেদন করেন বলে জানিয়েছেন বাদী।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ছাত্র-জনতার ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি কোটা সংস্কার আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। কোনো উস্কানি ছাড়া আসামিদের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা গুলি করে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক সেতুমন্ত্রী আন্দোলন শক্ত হাতে দমন করার নির্দেশ দেন। অন্য আসামিরা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে তাদের অধীনন্ত পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন। আসাজ্জামান কামাল পুলিশকে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করার নির্দেশ দেন।
Posted ২:৫৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh