বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন- সরকার হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে বিশ্ববাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করছে এই দেশ একটি সন্ত্রাসী দেশ। এদেশে বিদেশি সাহায্য দরকার। আর খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এদেশে রোজা এবং পূজা একসাথে হয়েছে। তখন তো কোনো দাঙ্গা হয়নি। একে অপরের ধর্মকে আমরা মেনে নিয়েছি। আসল কথা হলো বিভিন্ন অপকর্ম আড়াল করতে পরিকল্পিতভাবে সরকার এই সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ১৯ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, সামাজিক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশের বিশ্বজুড়ে সুনাম আছে। বাংলাদেশে হিন্দুরা সংখ্যালঘু হলেও তারা কখনও সেটা অনুভব করেনি। আমার এলাকায় ২৫ ভাগ হিন্দু ভোটার বাস করে। কেউ বলতে পারবে না যে এই এলাকায় কোনো দিন দাঙ্গা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই হাঙ্গামার অনেকগুলো কারণ আছে। যদি হিন্দুরা চলে যায় সেই সম্পত্তি আওয়ামী লীগের লোকেরা দখল করবে। আর যদি তারা থেকে যায় মিথ্যাচার করে সেই ভোটটা তারা পাবে। কিন্তু হিন্দু ভোটাররা সেটা করেন না। তা করলে হিন্দু ভাই-বোনদের ভোটে আমরা নির্বাচিত হতাম না।
মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার বাংলাদেশে লুটপাটের একটা কারখানা খুলে বসেছে। খালেদা জিয়া আজ ক্ষমতায় থাকলে এ লুটপাট বন্ধ হয়ে যেত।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এসএস জিলানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের পরিচালনায় মিলাদ মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।
Posted ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh