বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২২
২০১৮ সালে খাসোগি-হত্যাকাণ্ডের পর এই প্রথম সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। আগামী মাসে এরদোগান সৌদি আরবে যাবেন। ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক জামাল খাসোগির মৃত্যুর পর তুরস্ক ও সউদীর সম্পর্ক খারাপ হয়। তারপর থেকে এরদোগানও আর সউদীতে যাননি। কিন্তু এরদোগান সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে জানিয়েছেন, আগামী মাসে তিনি সউদী সফরে যবেন।
খাসোগি হত্যার পর দুই দেশের সম্পর্ক খুবই খারাপ হয়ে যায়। এরদোগান তখন বলেছিলেন, সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্তার নির্দেশে খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি অবশ্য সউদীর যুবরাজ ও ক্ষমতার আসল চাবিকাঠি যার হাতে সেই মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম নেননি। সৌদি আরবও প্রত্যাঘাত করে। তুরস্কের বিরুদ্ধে অঘোষিত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা চালু হয়। তুরস্কে না যাওয়ার নির্দেশও দেয়া হয়। ফলে তুরস্কের অর্থনীতির উপর চাপ পড়ে। এই মুহূর্তে তুরস্কের অর্থনীতি রীতিমতো চাপে।
গত মে মাসে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি সফরে যান। তিনি সউদীর পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করে জানিয়েছিলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে। এরদোগানও গতমাসে সউদীর যুবরাজের সঙ্গে কাতারে একটি বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। বিশ্বের প্রায় সবকটি প্রধান সংবাদপত্রে খাসোগি হত্যাকাণ্ডের খবর গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়েছিল। খাসোগি ছিলেন সউদী শাসকদের বিরোধী। তিনি ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং অ্যামেরিকায় থাকতেন। ইস্তাম্বুলের সউদী কনসুলেটে তাকে হত্যা করা হয়। সম্প্রতি অ্যামেরিকার গোয়েন্দারা রিপোর্ট দিয়েছেন যে, যুবরাজের সম্মতিতেই খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে। যে ১৫ জনের দল খাসোগিকে হত্যা করার জন্য গিয়েছিল, তার মধ্যে সাতজন যুবরাজের এলিট দেহরক্ষী বাহিনীর সদস্য। তারা যুবরাজ ছাড়া আর কাউকে রিপোর্ট করে না। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
Posted ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh