বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০২৪
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আছে বলে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা চাউর হয়েছে। তবে এমন অভিযোগ-জল্পনা সরাসরি প্রত্যাখান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানিয়েছে, হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগ ‘কেবলই মিথ্যা’। ১৩ আগস্ট বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না। একইসঙ্গে বাংলাদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগকে ‘কেবলই মিথ্যা’ বলেও অভিহিত করেছে হোয়াইট হাউস।
বাংলাদেশে সরকার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমাদের আদৌ কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে যদি কোনো প্রতিবেদনে বলা হয় বা গুজব ছড়ানো হয় তবে তা নিছক মিথ্যা।’
হোয়াইট হাউস সোমবার আরও বলেছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি— বাংলাদেশি জনগণেরই বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা উচিত এবং আমাদের অবস্থান ঠিক এটাই।’
গত রোববার দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা তাদের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে এক বার্তা পাঠিয়েছেন। সেই বার্তা দ্য প্রিন্টের হাতে এসেছে বলেও দাবি করা হয়। দ্য প্রিন্ট হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে কারণ তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চায়। তবে পরবর্তী সময়ে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, তিনি (হাসিনা) কখনোই এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি। ছাত্র-জনতার তুমুল বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এরপর সামরিক বিমানে করে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
Posted ১০:০২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh