বাংলাদেশ অনলাইন : | রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২
বাবা নেই, থাকার ঘরটিও পুড়েছে আগুনে। দারিদ্র্যের তাড়নায় বাবাহীন কুলসুমের আশ্রয় মেলে আশ্রমে। সেই থেকে বিচ্ছেদ ঘটে পরিবারের সাথে। সব হারিয়ে অসহায় কুলসুমের জীবনে শান্তির দূত হয়ে আসেন সুইজারল্যান্ডের এক দম্পতি। অনাথ আশ্রম থেকে তাকে দত্তক নিয়ে যান তারা। পাঁচ বছরের সেই কুলসুম সুইজারল্যান্ডে বেড়ে উঠলেও ভুলতে পারেননি মায়ের কথা। অবশেষে ৪৫ বছর পর মাকে খুঁজে পেলেন কুলসুম। যদিও তার নাম এখন ম্যারিও সিমো ভ্যামৌ। ৯ এপ্রিল (শনিবার) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আপন নীড়ে ফিরেছেন কুলসুম।
আপন আঙিনায় নামতেই কুলসুমকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্বজনরা। এ সময় ভিড় জমান আশপাশের লোকজনও। কয়েক দশক পর আপনজনদের কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কুলসুম। ফেরেন মায়ের কোলে। মাকে পেয়ে পাগলপ্রায় কুলসুম। ক্ষণে ক্ষণে মাকে চুমু খাচ্ছেন আর জড়িয়ে ধরছেন। বলছেন তার না বলা কথা। বাংলা তেমন একটা বলতে না পারলেও স্বস্তি ও আনন্দ প্রকাশ পাচ্ছে তার চোখে-মুখে। সঙ্গে এসেছেন কুলসুমের স্বামী আন্দ্রে সিমন ভারমুট। তিনিও জানাচ্ছেন নিজের মনের অনুভূতি।
কুলসুম বলেন, অসচ্ছল পরিবারে জন্ম নেয়ায় পাঁচ বছর বয়সে চাচার পরামর্শে আমাকে অনাথ আশ্রমে দেন মা। ওই সময় আমাদের ঘরটিও আগুনে পুড়ে যায়। তবে অনাথ আশ্রম থেকেই আমাতে দত্তক নেন সুইস দম্পতি। এরপর সেখানেই সবকিছু। হ্যাঁ এটা ঠিক। আমি একটা ভালো জীবন হয়তো পেয়েছি। তবে আমার ৪৫ বছরের সুখে ওই পাঁচ বছর দুঃখ হয়েই চেপে আছে। মনের মধ্যে প্রতিটা মুহূর্তই চাওয়া ছিলো পরিবারকে ফিরে পাওয়ার। অবশেষে খুঁজে পেয়েছি।
কুলসুম আরও বলেন, মায়ের নাম মরিয়ম। আমরা চার ভাই-বোন ছিলাম। বাবা ছিলেন ফার্মাসিস্ট। আমি মায়ের সঙ্গে লঞ্চে করে এসেছিলাম ঢাকায়। এরপর উঠেছিলাম মোহাম্মদপুরে চাচার বাসায়। যদিও ঠিকানাটা মনে নেই। এতো বছর পর পরিবারকে পেয়ে অনেক খুশি।
Posted ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh