বাংলাদেশ অনলাইন : | শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী ফিরে গেলেন স্বর্গলোকের কৈলাসে স্বামীর ঘরে। পরের বছর শরতে আবার তিনি আসবেন এই ধরণীতে যা তার বাবার গৃহ। ১৫ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকাল ৪টায় বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটের বীণাস্মৃতি স্নানঘাটে শাহজাহানপুর বাংলাদেশ রেলওয়ে পূজা কমিটির প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ষষ্ঠী তিথিতে ‘আনন্দময়ীর’ আগমনে এ উৎসবের সূচনা হয়। দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তা শেষ হলো। দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে এসেছেন। গিয়েছেন পালকি চড়ে।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ধর্মদাস চট্টোপাধ্যায় জানান, মহিষাসুর বধ করার মধ্য দিয়ে বিজয়ী হয়েছেন দুর্গা মা। সে কারণেই আমাদের আনন্দের দিন, আমরা উৎসব করি। জাতি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ সবাইকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাই।
মহামারি পরিস্থিতিতে এবারও কোনো সিঁদুর খেলার আয়োজন রাখা হয়নি। তবে প্রতিমা ঘাটে নিয়ে আসার পর শেষবারের মতো ধূপধুনো নিয়ে আরতিতে মেতে ওঠেন ভক্তকুল। সবশেষে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মধ্যদিয়ে মা দুর্গা ও তার সন্তান কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীকে নৌকায় তুলে বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জনের সময় ‘দুর্গা মা কী, জয়’, ‘আসছে বছর আবার হবে’ বলে ধ্বনি দেওয়া হয়। ভক্তরা ঢাকের শব্দের সঙ্গে কাসার ঘণ্টা বাজিয়ে নৌকাযোগে প্রতিমাগুলো নদীতে বিসর্জন দেয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের কমিশনারের উপকমিশনার জসিম উদ্দীন মোল্লা জানান, প্রতিমা বিসর্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি নৌ-পুলিশ ও র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
Posted ২:৫৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh