বাংলাদেশ অনলাইন : | সোমবার, ১৬ মে ২০২২
দেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ নিয়ে বছর কয়েক ধরে পালিয়ে থাকা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। পিকে হালদারকে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। ইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে বন্দীবিনিময় চুক্তির আওতায় পি কে হালদারকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগও শুরু করেছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। পি কে হালদারকে কবে নাগাদ দেশে ফেরত আনা হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্রেফতারের বিষয়ে ভারত জানানো মাত্রই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আইনি ব্যবস্থা নেবে সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় ৬ মাসের মধ্যেই পি কে হালদারকে দেশে ফেরানো সম্ভব। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি তৎপর হয় তাহলে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে পি কে হালদার সংক্রান্ত সব তথ্যও পেতে পারে বাংলাদেশ।
সাবেক কূটনীতিকরা বলছেন, বাংলাদেশ-ভারত বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় খুব সহজেই পি কে হালদারকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা যাবে। এ জন্য প্রথমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিতে হবে। পুরো প্রক্রিয়ায় যৌথভাবে কাজ করবে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অর্থপাচার মামলার পলাতক আসামি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে অন্তত ৩৪টি মামলা রয়েছে। গত শনিবার (১৪ মে) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগর থেকে পি কে হালদারের সঙ্গে তার দুই ভাইসহ গ্রেফতার হয়েছেন আরও ৫ জন।
গ্রেফতার অন্য পাঁচজন হলেন- উত্তম মিত্র, স্বপন মিত্র, সঞ্জীব হালদার, প্রাণেশ হালদার (প্রীতিশ) ও তার স্ত্রী। এক বিবৃতিতে ইডি জানিয়েছে, হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে টাকা পাচারে পি কে হালদারকে সহযোগিতা করেছেন সুকুমার মৃধা। আর সম্পদ কেনায় সাহায্য করেছেন সুকুমারের মেয়ে অনিন্দিতা ও মেয়ের জামাই সঞ্জিব হাওলাদার। এ তথ্যের ভিত্তিতেই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি।
Posted ৪:১০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৬ মে ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh