বাংলাদেশ অনলাইন : | বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
স্বস্তি ফিরছে দেশের পোশাকশিল্পে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নানা দাবিতে মাঠে নামে শ্রমিকরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বহিরাগতরা। এ সময় কারখানা ভাঙচুর, লুটপাট ও দখলের ঘটনা ঘটে। এতে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে পুরো পোশাক খাতে। আইনশৃঙ্খলারও চরম অবনতি ঘটে। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ১৮ দফা দাবি তোলা হয়। সরকার, মালিক ও শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে তারা ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়ার পর ধীরে ধীরে স্বস্তি ফিরে আসে পোশাক খাতে। দেশের ৯৯ শতাংশ কারখানা বর্তমানে চালু হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের মধ্যেও আস্থা ফিরছে।
অন্যদিকে কারখানাগুলোতে নতুন নতুন অর্ডার ও আগের অর্ডারের কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন মালিকরা। তাই নতুন কর্মী নিতে নানা জায়গায় বিজ্ঞপ্তিও দিচ্ছেন। জানা গেছে, আগামী মৌসুমকে কেন্দ্র করে প্রায় কারখানায় আসছে নতুন নতুন অর্ডার। গত মাসের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ অর্ডার বেড়েছে।
কারখানা মালিকরা আশাবাদী আগামী মৌসুমে পুরো অর্ডার পাবেন। ক্রেতাদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসছে। তারা বাংলাদেশ থেকেই পোশাক নিতে চান। তবে পরিবেশ আরও স্থিতিশীল ও স্থায়ীত্ব চান তারা। এদিকে ক্রেতা আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছে বিজিএমইএ। বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করছে।
জানা গেছে, নতুন সরকারের প্রতি ক্রেতা দেশগুলোর আস্থা বাড়ছে। বিশেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন। তাকে বিশ^বাসী চেনেন। তার প্রতি বিশ্বাস রাখেন। তাকে তারা অনুসরণ করেন। তার প্রতি আস্থা থাকায় ক্রেতারা অন্য দেশে যাবে না বলে বিশ্বাস ব্যবসায়ীদের। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিগত সময়ে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে নতুন সরকারের কাছে স্থিতিশীলতা ও নীতি সহায়তা চান। একই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস, বিদ্যুতের নিশ্চয়তা থাকলে কাজে আরও গতি আসবে। এ ছাড়া পেছনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে ব্যাংকগুলোকেও পাশে চান তারা।
Posted ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh