বাংলাদেশ অনলাইন : | শুক্রবার, ০৯ এপ্রিল ২০২১
কিম জং উন
দশ বছর ধরে একচ্ছত্র ভাবে দেশ শাসন করছেন কিম জং উন। তবে সম্ভবত এই প্রথম বার দলীয় কর্মীদের সামনে স্বীকার করে নিলেন যে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারেই ভাল নয়। বুধবার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওয়ার্কাস পার্টির শাখা সচিবদের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
কিম বলেছেন, ‘দেশ এখন সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।’ কী ভাবে এই অবস্থা থেকে উত্তর কোরিয়াকে টেনে তোলা যায়, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনাও করেছেন তিনি। করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশ্বের আর পাঁচটা দেশের মতো উত্তর কোরিয়াতেও লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিলেন শাসক কিম জং উন। কিন্তু তার ফলে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সাধারণ মানুষ চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে।
তাদের নিজস্ব পরমাণু কর্মসূচির জন্য উত্তর কোরিয়ার উপরে এমনিতেই একের পর এক নিষেধাজ্ঞার বোঝা চাপিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে সেই বোঝা আরও কয়েক গুণ বেড়েছে। নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে গত জানুয়ারিতে একটি পার্টি কংগ্রেসের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময়ে তার পরিকল্পনা দলের অনেক কর্মীই মানছেন না বলে বৈঠকে তাদের তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন কিম।
এ দিনের বৈঠকে দলের তৃণমূল স্তরের প্রচুর কর্মী হাজির ছিলেন। ৫ থেকে ৩০ জনের এক একটি দলে ভাগ করা হয় এই শাখা সচিবদের। মূলত কারখানাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এই শাখা সচিবেরা। ২০১৭ সালের পরে বুধবার এই শাখা সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রেসিডেন্ট কিম। তাদের সামনেই কিম বলেছেন, ‘এই রকম খারাপ পরিস্থিতিতেও কী ভাবে সাধারণ মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন করা যায়, তা নির্ভর করে দলের তৃণমূল স্তরের কর্মীদের সদর্থক ভূমিকার উপরে।’ সূত্র : সিবিএন নিউজ
Posted ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৯ এপ্রিল ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh