বাংলাদেশ অনলাইন : | বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪
রাশিয়া ও চীনের প্রেসিডেন্ট। ছবি : সংগৃহীত
কেউ খাবে, কেউ খাবে না- এই নীতির বিরুদ্ধে বিশ্বে জনমত দাঁড়িয়ে গেছে। তাই তথাকথিত ‘বিগ ফিশদের’ বিরুদ্ধে একট্টা হচ্ছে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো। এই দেশগুলো জোটবদ্ধ হয়ে পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চাইছে। আর এই জোটের নেতৃত্বে রয়েছে চীন ও রাশিয়া। মতাদর্শগত জায়গা থেকে ভিন্নতা থাকলেও পশ্চিমের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে আরও অনেক দেশ সামিল হতে চাইছে। উদীয়মান অর্থনীতির জোট ব্রিকসে এবার যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে মালয়েশিয়া। চীনের মিডিয়া আউটলেট গুয়াংচাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠা পায় ব্রিকস। এর পরের বছর জোটে যোগ দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রিকসের শুরুর দিকে সদস্য রাষ্ট্র ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার অদ্যাক্ষর দিয়ে এই গ্রুপের নামকরণ করা হয়েছে।
গুয়াংচাকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের কাছ থেকে চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় আছি। পরে আনোয়ারের অফিসের একজন প্রতিনিধি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে নিজের সাক্ষাৎকারে আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত জানাননি আনোয়ার।
চলতি সপ্তাহে তিন দিনের সফরে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। মালয়েশিয়া ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এমন উচ্চ পর্যায়ের সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তার ঠিক আগেভাগেই ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানাল মালয়েশিয়া। চীনা প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বেইজিং ও কুয়ালালামপুরের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে ৫ বছরের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাও পুনর্নবায়ন হতে পারে এই সফরে।
বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পশ্চিমারা। সেই বিশ্ব ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতেই গেল বছর সদস্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিকস। এরপরই চলতি বছরের জানুয়ারিতে সৌদি আরব, ইরান, ইথিওপিয়া, মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ব্রিকসের সদস্য হয়। আরও অন্তত ৪০টি দেশ ব্রিকসের সদস্য হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর একজোট হওয়া বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার বলয়ে ঢুকে যাওয়ায়, পশ্চিমারা এখন বেশ চিন্তায় পড়ে গেছে।
Posted ৯:০১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh