বাংলাদেশ অনলাইন : | রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০
করোনার দ্বিতীয় ধাপ পার করছে গোটা ইউরোপ। এর মধ্যে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা ব্রিটেনে। যেখানে প্রথম ধাপের তুলনায় করোনা ভয়ানক রূপ নিয়েছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত বুধবার থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে ইংল্যান্ডের কয়েকটি শহরে। ভাবা হচ্ছিল ক্রিসমাস ও নববর্ষ উপলক্ষে লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হবে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের সতর্কবাণীর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিধিনিষেধ শিথিল করার পরিবর্তে এটি আরও কড়াকড়ি করার ঘোষণা দিয়েছেন।
রাজধানী লন্ডন শহরসহ ব্রিটেনে ভয়াবহভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া এলাকাগুলোতে ‘টায়ার ফোর’ বা চতুর্থ স্তরের নিরাপত্তা সতর্কতা বা সর্বোচ্চ পর্যায়ের লকডাউন জারি করা হয়েছে। বড়দিন উৎসবের মৌসুমে সংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে দুই সপ্তাহের জন্য এ লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গত শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ ডিসেম্বর (রোববার) মধ্যরাত থেকে লন্ডন, কেন্ট, এসেক্স এবং বেডফোর্ডশায়ারসহ বেশ কিছু পঞ্চলে নতুন ‘টায়ার ফোর’ নিয়ন্ত্রণ চালু করা হবে। ‘টায়ার ফোর’ নিরাপত্তা সতর্কতার আওতাধীন যারা থাকবে তারা একই বাড়ির ভেতরেও অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারবে না।
লন্ডন, দক্কিণ-পূর্ব লন্ডন ও পূর্ব ইংল্যান্ডে এই লকডাউন কার্যকর হবে। এসব এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। লকডাউন এলাকার বাসিন্দাদের সরকারের পক্ষ থেকে খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। টায়ার ফোর এলাকাগুলোতে ভ্রমণ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের নেতারাও নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর লকডাউনের সিদ্ধান্তটি পর্যালোচনা করা হবে।
Posted ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh