বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যু দিয়েছেন আদালদত। এছাড়া অপর আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান ১৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সকালে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে কাশেমপুর কারাগারে থাকা চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলায় দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের হাজির করা যায়নি।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির ও মো. আরাফাত রহমান। অপর আসামি শফিউর রহমান ফারাবিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির শুরু থেকেই পলাতক।
আদালতের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির। অপরদিকে আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী নজরুল ইসলাম।
নথি থেকে জানা যায়, ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। ১১ এপ্রিল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন। ১লা আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান।
Posted ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh