বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২
সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে মায়ের কাছে চলে যাওয়ার কথা চিরকুটে লিখে আত্মহত্যা করেছেন সবুজ ঢালি (২২) নামের এক যুবক। ১৫ জুলাই (শুক্রবার) রাত ১০টার দিকে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট হাউজিং এস্টেটের একটি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় নিহতের মানিব্যাগ থেকে চিরকুটটি উদ্ধার করা হয়। চিরকুটে সবুজ লিখেছে, ‘আমি জানি আমি খারাপ, তাই আমি চলে গেলাম। আমাকে সবাই মাফ করে দেবেন। আমি জানি না আমার কি হবে। ভালো থেকো সবাই। ০১৬০৮…ওর থেকে আমি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পাই। ভাই মাফ করে দিয়েন। আমি মায়ের কাছে চলে গেলাম।’
সবুজ ঢালি মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি থানার বানিয়া গ্রামের আব্দুল হাসেম ঢালির ছেলে। তিনি ভাই-ভাবির সঙ্গে হাউজিং এলাকার বি-ব্লকের অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেনের বাসার দোতলায় ভাড়া থাকতেন। নিহত সবুজের ভাই জসিম ঢালি জানান, বউ-বাচ্চা আর ছোট ভাইকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। রাত ৮টার দিকে বাড়ির মালিকের ছেলে ফোন করে জানায়, তারা বাচ্চারা বাইরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আপনার বাসার দরজা ভেতর থেকে আটকানো। তাই বাচ্চাগুলো ঘরে ঢুকতে পারছে না। তা ছাড়া বাচ্চাগুলোর মা পার্লারে চাকরি করেন। সেও বাসায় নেই। এমন খবর পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফেলে রেখে বাসায় এসে দরজা ভেঙ্গে ছোট ভায়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
নিহতের ভাবি লিজা বেগম জানান, গত ৪ মাস হলো তারা এখানে ভাড়া উঠেছেন। গত ৩ মাস যাবৎ দেবর তাদের সঙ্গেই থাকে। দুপুর ১টার দিকে দুজনেই খাওয়া শেষে তিনি পার্লারে চলে যায়। বিকেল ৪টা ১৬ তে সবুজ তাকে কল করে জিজ্ঞাসা করেন, রান্না করতে হবে কি না? আর তার আসতে দেরি হবে কিনা? এতটুকুই তার শেষ কথা। দেড় বছর আগে মায়ের মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে নিহতের ভাবি বলেন, আগে সবুজ একটা ব্যবসা করতো। মাথাব্যথা ও অসুস্থতার জন্য সে এখন কিছুই করে না। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাশার জানান, ডাইনিং রুমের ফ্যানের হুকের সঙ্গে লাইলন রশি দিয়ে সবুজ আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় পাশের রুমের ওয়ারড্রপের উপর রাখা নিহতের মানিব্যাগে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।
Posted ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh