বাংলাদেশ অনলাইন : | রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আরাফাত রহমান কোকো কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি একজন ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তিনি নিজেকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। দুর্ভাগ্য আমাদের এই অত্যান্ত মেধাবী ক্রীড়া সংগঠক তাকে মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার নির্মমভাবে, অন্যায়ভাবে নির্যাতন করায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই অসুস্থ অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। আমরা মনে করি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
২৪ জানুয়ারি (রবিবার) সকালে আরাফাত রহমান কোকোর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আরাফাত রহমান কোকো সৃষ্টি হয়েছেন বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য, সৃষ্টি হয়েছেন ক্রীড়াঙ্গনে উন্নয়নের জন্য। আমরা আজকে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবর জিয়ারত করেছি।
এসময় যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিএনপির ক্রীড়াঙ্গন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ইন্তেকাল করেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। পরে ২৮ জানুয়ারি আরাফাত রহমানের মরদেহ দেশে আনা হয়। ওই দিনই বনানী কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর কারাগারে ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান তিনি। সেখান থেকে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়। কুয়ালালামপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন।
অন্যদিকে মুদ্রা পাচার মামলায় বাংলাদেশের আদালতে ২০১১ সালে আরাফাত রহমান কোকোর ছয় বছর কারাদণ্ডাদেশ হয়। ২০১৩ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়ে খালেদা জিয়া ব্যাংককে যাত্রাবিরতি দিয়ে ছোট ছেলেকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেটাই ছিল মায়ের সঙ্গে তাঁর শেষ সাক্ষাৎ।
আরাফাত রহমান কোকো এমন সময়ে মারা যান যখন তাঁর মা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে গুলশানের কার্যালয়ে ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে অবরুদ্ধ ছিলেন। সরকার তাঁর বাসার সামনে বালুর ট্রাক দিয়ে এবং বাসার গেটে তালা লাগিয়ে রাখে। ছেলের মৃত্যুর সংবাদে অচেতন হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। বারবার মূর্চ্ছা যান তিনি। বিদেশে ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসার জন্য অবস্থান করলেও আদরের ছোট ছেলে এভাবে মারা যাবেন এমনটি খালেদা জিয়ার কল্পনায়ও ছিল না। পাশে থাকা পরিবারের স্বজনেরা সান্ত্বনা দিতে গেলেও তাঁকে থামানো যায়নি। ছেলের মৃত্যুতেও তিনি জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষায় আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
Posted ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh