ঢাকা | মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৪
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ওমং তইন চাকমা (৪০), কেরামা চাকমা (৩৫), পাইয়াদীবী চাকমা (১৯), বামাংথাই চাকমা (২৯), আলী হায়দার রাব্বী (২৭), মুমিনা খাতুন (৪৪), দিদার হোসেন (২৫), জাহাঙ্গীর আলম (২৪) ও মনির হোসেন (২৩)। গত রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ডিএনসি বলছে, গ্রেফতারকৃতরা মাদক কারবারি চক্রের সদস্য। মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান এনে যশোরে মজুদ করত তারা। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তা সরবরাহ করত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তারা ব্যবহার করতেন এনক্রিপটেড অ্যাপ। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা করে আসছিল চক্রটি। এই চক্রের সদস্যদের কেউ কেউ ট্রাক চালকের আড়ালে ইয়াবার চালান কক্সবাজার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসতেন। তাদের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও ডিএনসি কার্যালয়ে ৯ জনকে গ্রেফতারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসি ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) উপপরিচালক আবুল হোসেন জানান, তথ্য ছিল ইয়াবার বেশ কয়েকটি চালান কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকা থেকে ঢাকায় আসবে। এমন তথ্য পেয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, ওমং তইন চাকমা, কেরামা চাকমা, পাইয়াদীবী চাকমা ও বামাংথাই চাকমা মূলত রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবানকেন্দ্রিক একটি মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। ঢাকার একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে আঁতাত করে তারা মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা ঢাকা এলে ৯ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মুমিনা খাতুন ও আলী হায়দার রাব্বী যশোর কেন্দ্রিক একটি ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্য। তাদের কাছ থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তারা টেকনাফ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে যশোরে মাদক কারবারিদের কাছে সরবরাহ করত। এদের জিজ্ঞাসাবাদে এই সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্যের নাম পাওয়া গেছে। যাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও চক্রটির অন্য সদস্যরা দিদার, জাহাঙ্গীর আলম ও মনির হোসেনের মূল পেশা ট্রাকচালক। কিন্তু তারা গাড়ি চালানোর আড়ালে ইয়াবা পরিবহন করতেন। ইয়াবার একটি বড় চালান নিয়ে তারা ঢাকায় ঢুকবে, এমন তথ্য ছিল ডিএনসির কাছে। ফলে অভিযান চালিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে একটি কাভার্ড ভ্যানের ভেতর ২৮ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়। তারা নিজেদের আড়াল করার জন্য বিভিন্ন এনক্রিপটেড অ্যাপস ব্যবহার করতেন। জব্দকৃত ইয়াবার বাজারমূল্য ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
Posted ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh