বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক : | রবিবার, ২১ জুন ২০২০
দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যায় শিল্প-কারখানা। লকডাউন ও ছুটির ফাঁদে পড়ে অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি দেশের বস্ত্র খাত। পুনরায় মিল-কলকারখানা চালু হলেও কোনো শিল্প ইউনিট ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। সক্ষমতার বিপরীতে অর্ডার নেই। বড় জোর ৩০ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারী দিয়ে মিল ফ্যাক্টরি চালানোর সুযোগ আছে। তাও কতদিন চলবে- তা অনিশ্চিত। এ হিসাবে কমপক্ষে বস্ত্র সেক্টরের ৭০ শতাংশ কর্মীর চাকরি হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ দেশের শিল্প অধ্যুষিত ৬ এলাকা আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনায় চাকরিচ্যুত হয়েছেন মোট ২১ হাজার ৩৩১ জন শ্রমিক।
যার মধ্যে ঈদের পর গত দুই সপ্তাহে ১০ হাজারের বেশি কাজ হারিয়েছেন। এছাড়া কারখানা বন্ধ হয়েছে প্রায় ৩ শতাধিকের বেশি।
শিল্প কেন্দ্রীকরণের কারণেই ৬ শিল্প এলাকায় একক খাতভিত্তিক কারখানার সংখ্যা বেশি। ৬ শিল্প এলাকায় শুধু পোশাক খাতের কারখানা আছে ২ হাজার ৮৯৩টি। এ খাতেরই ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ বস্ত্র শিল্পের কারখানা আছে ৩৮৯টি। এছাড়া বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) আওতায়ও আছে বস্ত্র ও পোশাক খাতের কারখানা। এভাবে ছয় শিল্প এলাকায় মোট ৭ হাজার ৬০২টির মধ্যে পোশাক খাত কেন্দ্রিক মোট কারখানার সংখ্যা ৩ হাজার ৩৭২টি। ছাঁটাইয়ের চিত্রেও এ কেন্দীকরণের প্রতিফলন দেখা যায়।
শিল্প পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ছয়টি শিল্প এলাকায় পোশাক শিল্প মালিক সংগঠন বিজিএমইএ’র সদস্য কারখানা আছে মোট ১ হাজার ৮৮২টি। এর মধ্যে ৮৬টি কারখানায় ছাঁটাই হয়েছেন ১৬ হাজার ৮৫৬ জন। ৮৬ কারখানার মোট শ্রমিক সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫২ জন। পোশাক শিল্প মালিকদের আরেক সংগঠন বিকেএমইএ’র সদস্য কারখানা মোট ১ হাজার ১০১টি। এসব কারখানার মোট শ্রমিক সংখ্যা ৩৩ হাজার ৮৬০ জন। যার মধ্যে মোট ১৬টি কারখানার ২ হাজার ২৯৮ জন ছাঁটাই হয়েছেন। পোশাক খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ বস্ত্রশিল্প মালিক সংগঠন বিটিএমএ’র সদস্য মোট ৩৮৯টি কারখানা আছে ছয় শিল্প এলাকায়। এর মধ্যে মোট চারটি কারখানার ২৫৮ জন শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছেন। ৩৮৯ কারখানার মোট শ্রমিক সংখ্যা ২ হাজার ৭০০ জন।
Posted ৬:০৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২১ জুন ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh