শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

নদীতে চামড়া ফেলে দিলেন ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক :   |   সোমবার, ০৩ আগস্ট ২০২০

নদীতে চামড়া ফেলে দিলেন ব্যবসায়ীরা

রাজশাহীতে এবার কোরবানির চামড়া বিক্রি হয়েছে পানির দরে। গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম ২০-২৯ শতাংশ কমিয়ে নির্ধারণ করেছিল সরকার। সেই দামও পাওয়া যায়নি চামড়া বিক্রির সময়। ছাগলের চামড়া রাজশাহীতে ৫ থেকে ৩০ এবং গরুর চামড়া ১০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা অবশ্য একটু বেশি দামে চামড়া কিনেছিলেন। তারা ধরা খেয়েছেন। আড়তে বিক্রি করতে না পেরে সেই চামড়া পদ্মা নদীতেও ফেলে দিতে দেখা গেছে।

প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার তারাই ঠিকমতো বাজার বুঝতে পারেননি। একদিনের জন্য চামড়া কিনতে এসে মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও বোঝেননি। ফলে তাদের লোকসান বেশি। একজন মৌসুমি ব্যবসায়ীও লাভ করতে পারবেন না।


চামড়া শিল্পের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল। রাজধানীতে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ধরা হয়েছিল প্রতি বর্গফুট ৩৫-৪০ টাকা। আর রাজধানীর বাইরে দেশের অন্যান্য জায়গায় দাম ধরা হয়েছিল প্রতি বর্গফুট ২৮-৩২ টাকা। ছাগলের চামড়ার দাম ধরা হয়েছিল প্রতি বর্গফুট ২৮-৩২ টাকা। এছাড়া চামড়ার দরপতন ঠেকাতে ঈদের তিনদিন আগে কাঁচা ও ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানির অনুমতি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ঈদের দিন রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, চামড়া ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামও দিতে চাইছিলেন না। চামড়া দেখে তারা নিজেরা ইচ্ছে মতো দাম নির্ধারণ করছিলেন। ক্রেতা-বিক্রেতার কোনো দরকষাকষি দেখা যায়নি। এক রকম নিজেদের নির্ধারণ করে দেয়া দামেই চামড়া কিনছিলেন ব্যবসায়ীরা।


চামড়া নিতে তাদের খুব একটা আগ্রহও দেখা যায়নি ব্যবসায়ীদের। মাঝারি আকারের একটি গরুর চামড়া ৫০ থেকে ১৫০ টাকায় কিনতে দেখা গেছে। আর বড় আকারের গরুর চামড়ার দাম দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা দেয়া হয়েছে। ছাগলের চামড়ার দাম দেয়া হয়েছে ৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামের বাসিন্দা আলী আকবরসহ সাতজন ব্যক্তি একসঙ্গে একটি গরু কোরবানি দেন। আলী আকবর বলেন, আমাদের গরুটার দাম ছিল ৯০ হাজার টাকা। মাংস হয়েছে চার মণ। চামড়ার দাম পেয়েছি ২০০ টাকা। এ দামেও চামড়া কিনছিলেন না ব্যবসায়ী। একরকম জোর করেই তাকে চামড়াটা দেয়া হয়েছে। আমাদের এলাকায় পাঁচ টাকাতেও খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে।


এদিকে দরদামে না হলে প্রকৃত ব্যবসায়ী চলে যাওয়ার পর কোথাও কোথাও সামান্য কিছু দাম দেশি দিয়ে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের চামড়া কিনতে দেখা গেছে। কিন্তু সেসব চামড়া আর কেনা দামেও তারা বিক্রি করতে পারেননি। এতে তারা লোকসানে পড়েন।

গত ২ আগস্ট রোববার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর আই-বাঁধ এলাকায় কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ীকে প্রায় দেড় হাজার গরু-ছাগলের চামড়া পদ্মা নদীতে ফেলে দিতে দেখা গেছে।

এসব ব্যবসায়ীরা জানান, তারা রাজশাহীর বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে চামড়া কিনেছেন। তারপর বিক্রির জন্য চামড়া মহানগরীর রেলগেট এলাকায় আড়তে নিয়ে যান। কিন্তু তারা যে দামে কিনেছেন তার তিনভাগের এক ভাগও দাম বলা হয়নি। এসব চামড়া তাদের অন্য কোথাও বিক্রি করতে বলা হয়। কিন্তু তারা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, কোথাও চামড়ার চাহিদা নেই। তারা যে দামে চামড়া কিনেছেন তার অর্ধেক দামও পাবার সম্ভাবনা নেই। তাই ক্ষোভে তারা এসব চামড়া নদীতে ফেলে দিচ্ছেন।

রাজশাহী চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি আসাদুজ্জামান মাসুদ বলেন, আমাদের বকেয়া টাকা পড়ে আছে ট্যানারি মালিকদের কাছে। করোনার কারণে হাতেও টাকা নেই। সরকার কমিয়ে দাম নির্ধারণ করে দিলেও প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কাছে সেই দামেও চামড়া কেনার টাকা নেই। ফলে কম দামে তারা চামড়া কিনেছেন।

তিনি জানান, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা নিজেরা চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কিংবা ঢাকায় ট্যানারি মালিকদের কাছে পাঠান না। তারা কেনার পর সেই চামড়া আবার প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কাছেই বিক্রি করেন। কিন্তু এবার তাদের কাছ থেকে চামড়া কেনার আগ্রহ নেই প্রকৃত ব্যবসায়ীদের। এ কারণে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর জানিয়েছে, কোরবানির আগে জেলায় গরু-মহিষ ছিল প্রায় এক লাখ। আর ছাগল ছিল দুই লাখ ২৮ হাজার। অন্যান্য পশু ছিল ৪২ হাজার। সব মিলে কোরবানির জন্য পশু ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার। জেলায় আড়াই লাখের মতো পশু কোরবানি হওয়ার কথা। তবে প্রকৃত হিসাবটা এখনও প্রস্তুত হয়নি।

advertisement

Posted ৯:১১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৩ আগস্ট ২০২০

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

কাঁঠাল সমাচার
কাঁঠাল সমাচার

(1393 বার পঠিত)

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.