বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৮৯৯ সালের ২৫ মে (১১ জ্যৈষ্ঠ) ভারতের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট বাংলাদেশে তার মৃত্যু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশেই তাকে সমাহিত করা হয়।
দ্রোহের কবি কাজী নজরুলের জন্মবার্ষিকীতে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকীতে আমি তার স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। বাংলা সাহিত্য-সংগীতে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান অনস্বীকার্য। তার লেখায় অন্যায়, অসত্য, নির্যাতন, পরাধীনতার গ্লানি ও শৃঙ্খলা মোচনের দীপ্ত উচ্চারণ যুগ যুগ ধরে মানুষকে সাহসী হওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। নজরুলের বলিষ্ঠ লেখনীতে প্রকাশ পেয়েছে পরাধীনতা, সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে তার দৃঢ় অবস্থান। ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি গেয়েছেন মানবতার জয়গান। পাশাপাশি তার রচিত গজল, রাগ-রাগিণী আজও মানব হূদয়কে দোলা দেয়। নজরুল কেবল সংগ্রাম ও সাম্যের কবি নন, তারুণ্য ও যৌবনের কবি, জাতীয় জাগরণের কবি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার অম্লান স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে কবি নজরুলকে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে আনা হয়। পরে তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেয়া হয়।
Posted ৪:১১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh