বাংলাদেশ অনলাইন : | শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১
করোনা মহামারি প্রতিরোধে টিকা কিনতে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। গত ১৮ মার্চ বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যান্ডামিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অতিরিক্ত এই অর্থায়ন প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকাদানের আওতায় আনতে সরকারের যে গ্রাধিকার পরিকল্পনা তার অধীনে ৩১ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে সহায়তা করবে। এটি নিরাপদ ও কার্যকরী টিকা সংগ্রহ, সংরক্ষণ সুবিধা সম্প্রসারণ এবং বিতরণে সরকারকে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি চালু করে বাংলাদেশ করোনা প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। এ কর্মসূচির লক্ষ্য অর্জনে দ্রুত এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে জনগণের টিকা প্রাপ্তি গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, এই অর্থায়নের ফলে জাতীয় ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ জনগণের জন্য অবিলম্বে টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করবে। প্রকল্পটি কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ এবং ভবিষ্যতে জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থার জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
এটি সফল টিকাদান কর্মসূচির জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে এবং দেশে টিকা পরীক্ষা করার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদার করবে। এই অর্থায়ন দেশের জনগণের প্রায় ২০ শতাংশের জন্য গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটির (কোভ্যাক্স) মাধ্যমে প্রাপ্ত টিকা দেয়ার ব্যয় বহন করবে।
জনসংখ্যার অবশিষ্ট ১১ শতাংশ মানুষের জন্য এই অর্থায়ন উৎপাদকের কাছ থেকে সরকারি ক্রয় অথবা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া টিকার ব্যয়ভার ও টিকা প্রদানের ব্যয় বহন করবে। এর বাইরে সরকার নিজস্ব সম্পদের মাধ্যমে দেশের ৯ শতাংশ লোকের জন্য টিকার ব্যয়ভার বহন করবে।
Posted ১২:৫৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh