কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ডস বিজয় উৎসব করেছেন। গত ২২ জুন অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক প্রাইমারীতে জয়লাভ করেন ডনোভান রিচার্ডস। আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে তিনি এখন দলটির চূড়ান্ত প্রার্থী। প্রাইমারী বিজয়ের পর গত ১ আগষ্ট, রোববার বিকেলে লং আইল্যান্ড সিটির র‌্যাভেল হোটেল মিলনায়তনে বিজয় উৎসবের আয়োজন করেন ডনোভান রিচার্ডস। ডেমোক্রেট দলীয় জনপ্রতিনিধি, তার নির্বাচনী প্রচারণা কমিটির কর্মকর্তা ও বিভিন্ন কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ বিজয় উৎসবে অংশ নেন। গত প্রাইমারী নির্বাচনে ডনোভান রিচাডর্সকে সমর্থন দানকারী বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসের প্রধান নির্বাহী ও প্রেসিডেন্ট আবু জাফর মাহমুদ ও তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।কুইন্সের বরো হলের প্রধান প্রকৌশলী বাংলাদেশী মোহাম্মদ সাদেক, ডেমোক্রেট নেতা মুর্শেদ আলমের নেতৃত্বে আহনাফ আলম সহ নিউ আমেরিকান ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি দল, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার ও ব্যবসায়ী নেতা শাহ নাওয়াজ, ফাহাদ সোলায়মান, কণ্ঠশিল্পী রানু নাওয়াজ, একেএম নুরুল হক, ইমাম মাওলানা রফিকুল ইসলাম ছাড়াও বাংলাদেশী কমিউনিটির অন্যান্য পলিটিক্যাল এ্যাক্টিভিস্টগণ অংশ নেন বিজয় উৎসব অনুষ্ঠানে।

ডেমোক্রেট দলীয় জন প্রতিনিধিদের মধ্যে বিজয় উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ইউএস কংগ্রেসম্যান থমাস সুজি, নিউইয়র্ক স্টেট এটর্নী জেনারেল লেটিশিয়া জেমস, এ্যাসেম্বলিম্যান ডেভিড ওয়েপ্রিন, ক্যাটলিনা ক্রুজ, জেনিফার রাজকুমার, খলিল এ্যান্ডারসন সহ অনেকেই। অনুষ্ঠানে অতিথিদেরকে স্বাগত জানান ডনোভান রিচার্ডস ও তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ম্যানেজার মেইনি সিলভা। অতিথিবৃন্দ অভিনন্দন জানান প্রাইমারীতে নির্বাচিত কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনোভান রিচার্ডসকে।

স্বাগত বক্তব্যে কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ডস ডেমোক্রেটিক প্রাইমারীতে তাকে বিজয়ী করার জন্য কুইন্সবাসীকে ধন্যবাদ জানান। প্রাইমারীতে আর্থিক ও অন্যান্যভাবে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কুইন্স বরো আমেরিকার সর্ববৃহৎ কাউন্টি। এখানে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠি ও ভাষাভাষীর মানুষ একটি চমৎকার প্রতিবেশ গড়ে উঠেছে। কুইন্স বরোর সার্বিক উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন ডনোভান রিচার্ডস। তিনি বলেন, কুইন্স বরোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখে সুন্দর এবং নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। কুইন্সের সিংহভাগ বাসিন্দা করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্রেটিক প্রাইমারীতে এবার বাংলাদেশী আমেরিকানদের অংশগ্রহণ ছিলো সক্রিয়। অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় যা ছিলো অনেকটা চোখে পড়ার মতো। শুধু সমর্থন বা নির্বাচনী প্রচারণাতেই ক্ষান্ত হননি বাংলাদেশীরা বিভিন্ন পদে নির্বাচনী লড়াইয়ে লিপ্ত প্রার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন অনেকে। বিগত এক বছর ধরে এ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত ছিলেন অনেক বাংলাদেশী।
এদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশী আমেরিকান সোস্যাল ও পলিটিক্যাল এক্টিভিস্ট আবু জাফর মাহমুদ। বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবু জাফর মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

নিউইয়র্ক স্টেট ও সিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে বরাবরই পালন করেছেন সক্রিয় ভূমিকা। সমর্থন জানিয়েছেন এবং অবস্থান নিয়েছেন পছন্দের প্রার্থী কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট পদে একই অফিসের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ডস’র পক্ষে। নিউইয়র্ক স্টেটের লাইসেন্স প্রাপ্ত হোম হেলথ কেয়ার এজেন্সি বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসের প্রধান নির্বাহী ও প্রেসিডেন্ট আবু জাফর মাহমুদ। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্রেটিক প্রাইমারীতে পাঁচজন প্রার্থীকে সমর্থন জানান তিনি এবং অভিনব কায়দায় নির্বাচনী প্রচারণা চালান তাদের জন্য। সিটির ডেমোক্রেটিক প্রাইমারীতে ভোট গ্রহণের দিন আকার্ষণীয় র‌্যালির আয়োজন করে বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিস। আর এজন্য তিনি তার প্রতিষ্ঠান বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পৃক্ত করেন। আবু জাফর মাহমুদ ও তার প্রতিষ্ঠান প্রার্থীদের অনেকের ফান্ড রেইজিংয়েও অংশ নেন আবু জাফর মাহমুদ। এমনকি তার প্রতিষ্ঠানের জ্যাকসন হাইটস কার্যালয়েও ডনোভান রিচার্ডস’র ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠিত হয় । এতে এককভাবে অংশ নেন তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। প্রাইমারী নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন রকম প্রচার প্রচারণায়ও অংশ নেন তারা।